নাহিদ রানাকে নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন অ্যামব্রোস
Published: 13th, January 2025 GMT
ঈশপের গল্পে সেই কৃষকের সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসকে তো মনে আছে? লোভে পড়ে প্রতিদিন সোনার ডিম পাড়া হাঁসটির পেট কেটে একবারে সব ডিম পেতে চেয়েছিল সেই কৃষক। পরিণতি সবারই জানা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কার্টলি অ্যামব্রোসের কাছেও নাহিদ রানা এক অর্থে সেই সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস। সরাসরি কথাটা না বললেও ভবিষ্যতের জন্য ‘দারুণ সম্পদ’ তো তেমন কিছুই বোঝায়। প্রশ্ন হলো, নাহিদকে নিয়ে কি লোভে পড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট? উত্তর দেওয়ার সময় এখনো হয়তো আসেনি। তবে অ্যামব্রোস কিন্তু এখনই সতর্ক করে দিলেন।
আরও পড়ুনজাকের জানেন না, কী চলছিল জোন্স-মানসির মাথায়৪৪ মিনিট আগেরানার বয়স মাত্র ২২ বছর। তাঁর বোলিংয়ের গতিটাই সম্পদ। ১৫০–এর আশপাশে বোলিং করতে পারা পেসার যেকোনো দলের কাছেই দারুণ প্রত্যাশিত। কিন্তু সেই প্রত্যাশার প্রতিদানের পুরোটা পেতে এই তরুণ পেসারের যত্নও তো নিতে হবে। অতি ব্যবহারে আগেভাগেই সব নিঃশেষ করে নিলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হয় না। ক্রিকেট ইতিহাসেই অন্যতম সেরা পেসার হিসেবে স্বীকৃত অ্যামব্রোস ঠিক এই বিষয়টি নিয়েই কথা বলেছেন। বিপিএলে এবার তৃতীয়বারের মতো ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন কিংবদন্তি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোস। এবার বিপিএলে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’