চট্টগ্রামে ব্যাংক এশিয়ার দায়ের করা খেলাপি ঋণের মামলায় সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট সিমেন্ট কোম্পানির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এছাড়া কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের এক বছরের ব্যাংক স্টেটম্যান্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.

রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ব্যাংকের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক এশিয়া নগরের আগ্রাবাদ শাখায় থেকে ঋণ নেয় আরামিট সিমেন্ট। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করায় ঋণের ১৪ কোটি ৬৩ লাখ খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকটি অর্থঋণ মামলা মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ২১ নভেম্বর মামলাটি আদালতে দায়ের করা হয়। ঋণ খেলাপিদের কোনও সম্পত্তি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ নেই।

৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে ঋণখেলাপিরা দেশত্যাগ করেছেন মর্মে শোনা যায়। তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কোম্পানির নামে ইউসিবি বহদ্দারহাট শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। হিসাবটি ক্রোকাবদ্ধ না করা হলে এ ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাওনা আদায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই আরামিট সিমেন্টে কোম্পানির হিসাবটি রায়ের পূর্বে কেন ক্রোকাবদ্ধ করা হবে না সেই বিষয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এক বছরের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য আদালতে দাখিল করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ