মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ডিসি-এসপির কাছে ফতুল্লাবাসীর স্মারকলিপি প্রদান
Published: 20th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ফতুল্লাবাসী। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা ঘুগ্ম আহ্বায়ক মো নাজমুল হাসান বাবু জানান, ফতুল্লা থানার যুবসমাজ ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারন হল মাদক।
মাদকের কারনে ফতুল্লা থানার সকল ইউনিয়ন এর প্রতিটি ওয়ার্ড এ চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম, মব সৃষ্টি, চাঁদাবাজি সকল ধরণের অপকর্ম সংগঠিত হচ্ছে।
বিশেষ করে ফতুল্লার কিছু চিহ্নিত কিছু জায়গায় মাদকের আখড়া গড়ে উঠছে। আর এসব কারণে ঘটনাগুলো সংগঠিত হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি নিয়মিতভাবে, ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, আফিম, প্যাথেডিন বিক্রি করে আসছে। এলাকার যুবসমাজ বিপদগামী পথে চলে যাচ্ছে এবং পরিবেশ অস্থির হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব ভূমিকা থাকার কারনে ফতুল্লা মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যেসব এলাকায় মাদক এর বাণিজ্য গড়ে উঠছে ভিতরে মাসদাইর এলাকার ঘোষেরবাগ, গাইবান্দা বাজার , লিচু বাগ, ছোট গোরস্তান, দেওভোগ মাদ্রাসা, ফারিয়ার মোর, ফতুল্লা রেল ষ্টেশন, ব্যাংক কলোনি, জোড়াপুল, রেললাইন, পিলকুনি ৫ তলা, পেয়ারা বাগানসহ আরো বেশকিছু এলাকায় মাদক এর রমরমা ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
আর এসব মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে কিছু ভুঁইফোড় রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যাক্তিবর্গ নিজে ও তাদের শেল্টারে থাকা লোকজন, প্রভাবশালী মহল, অসাধু নামধারী সাংবাদিক। এই মাদক সিন্ডিকেটে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য কিছুদিন পরপর মারামারি, খুন ও গুমের শিকার হয় বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন।
কিছুদিন আগে মাসদাইয়ে খুন হয়েছে, তার আগে ফতুল্লা এলাকায় কয়েকটি খুন হয়েছে। মাদকের জন্য এলাকায় এলাকায় কিশোর গ্যাং এর আধিপত্ত্য বিস্তার করার জন্য ।
নেশার টাকার জোগাড় করার জন্য তথা চুরি , ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। এসব মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতা দুজনেই সমান অপরাধ করে থাকে। মাদক বিক্রেতারা ওইসব এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় শক্ত সিভিকেট গড়ে তুলেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক স্পার্ট চলে মাদক বেচাকেনা।
এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা উলামায়ে দলের সাধারন সম্পাদক মো: হাফেজ মামুন, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবকদলে নেতা রফিকুল ইসলাম আপেল, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক যূগ্ন আহ্বায়ক লেলিন আহমেদ, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দল নেতা, সাগর সাগর, উজ্জল, সৌরভ, জাকির, সজিব, মাসুম, জুয়েল, রিদয়, রিফাত, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মো: ফয়সাল ইসলাম, সোহেল, মিদুলসহ এলাকার সকল স্তরের মানুষ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র জন য এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক লুটের টাকা দিয়ে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটের চেষ্টা করছে : মামুন মাহমুদ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ) আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ছাত্র জনতার প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে এবং বাংলাদেশে একটি নতুন সূর্য উদয় হয়েছে। আমার বিশ্বাস এই নতুন সূর্য বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে পথ দেখাবে।
জাতি অধীর আগ্রহে একটি অবাধ সুষ্ঠ গ্রহণযোগ্য অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনের অপেক্ষা করছে। আপানারা জানেন স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনা দেশের মানুষের টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট করে এস আলম গ্রুপের কাছে রেখেছে। সেই টাকা দিয়ে বর্তমানে খুনি হাসিনা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
হাসিনা ও তার পরিবার এমন ভাবে দেশের টাকা লুটপাট করেছে বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন আটকে যাচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকায় নাসিক ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুন মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয় অথবা আমি যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারি তাহলে এই এলাকা ৯০ দিনের মধ্যে মাদক মুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি। যারা মাদক সেবন করেন তারা যদি সঠিক চিকিৎসা করাতে না পারেন তাহলে গোপনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা আমাদের অর্থায়নে চিকিৎসা করাবো।
আমি জানি এই এলাকায় কয়েকজন ভূমিদস্যু আছে। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা ভালো হয়ে যান। যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে সাধারণ মানুষদের জিম্মি না করে ন্যায্য মূল্যে জমি ক্রয় বিক্রয় করেন। বিএনপিতে ভূমিদস্যুদের কোনো জায়গা হবে না।
নাসিক ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন মুক্তুল এর সার্বিক সহযোগিতায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, অকিল উদ্দিন ভূইয়া, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাজারুল ইসলাম ময়ূর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. শাহ আলম হিরা, নারায়ণগঞ্জজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. কবির হোসেন, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির, নাসিক ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাজী মারুফ, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. নাছির হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, নাসিক ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধান, সাধারণ সম্পাদক রাকিব দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম মাষ্টার, মো. রাজা মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিফাতুর রহমন রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক সম্্রাট আকবর, যুবদল নেতা মো. ইকবাল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, মিন্টু, মো. দুলাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা শাওন, স্বপন, অভি ও পাপ্পু সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।