বাংলাদেশের অনুশীলনে কেন ‘মঙ্গুজ ব্যাট’?
Published: 20th, October 2025 GMT
রোদ ঝলমলে সকাল। মিরপুরের মখমলের গালিচা একদিন পর আবার প্রাণবন্ত। সপ্তাহের প্রথম দিন বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডের পর একদিনের বিশ্রাম পেয়েছিল। আজ আবারও ২২ গজে ব্যাট-বলের ঠুকঠাক শব্দ। সকালে ১০টা থেকে মধ্য দুপুর পর্যন্ত চলে স্বাগতিকদের অনুশীলন। দুপুর ২টা থেকে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত ক্যারিবীয়ানরা ঘাম ঝরিয়েছেন। কালো মাটির উইকেট। প্রথম ওয়ানডে দিয়েই সিরিজের বাকি দুটিতে কেমন পরীক্ষা দিতে হবে তা বোঝা হয়ে গেছে দুই দলের। তাইতো সব পরিশ্রম, ঘাম ঝরানো স্পিনে পরীক্ষা দিয়েই।
বাংলাদেশ দল এরই মধ্যে স্পিন বহরে নাসুম আহমেদকে যুক্ত করেছে। সফরকারীদের সুযোগ থাকলে নিশ্চিত তারাও কিছু করতো। আপাতত সেই সুযোগ নেই। তাইতো যাদের নিয়ে এসেছে তাদের নিয়েই স্পিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে ড্যারেন স্যামির শিষ্যরা। বাংলাদেশের অনুশীলনে আজ কিছুটা ছিল ভিন্ন। দুটি বিষয় নতুন করেই যুক্ত হয়েছে। এক, ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় ফিল্ডিং পজিশন সাজিয়ে সেন্টার উইকেটে অনুশীলন। দুই, মঙ্গুজ ব্যাট দিয়ে ব্যাটিং।
আরো পড়ুন:
শান মাসুদের ব্যাটে প্রথম দিন এগিয়ে পাকিস্তান
বাংলাদেশকে ২০৩ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ পরিস্থিতিতে অনুশীলন করার কারণ ব্যাটসম্যানদের একেবারেই ম্যাচের আবহ দেয়া। এই সিরিজে চার-ছক্কার তেমন জোয়ার থাকবে না। সিঙ্গেল-ডাবলসে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। এজন্য পাওয়ার হিটিংয়ের অনুশীলনের বদলে ম্যাচের পরিস্থিতিতে অনুশীলন করেন তারা। বিশেষ করে মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ফুটওয়ার্ক নিয়েই বেশি কাজ করতে দেখা যায়।
দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদের থেকে কিছুটা ধারনা পাওয়া গেল, ‘‘আমরা আসলে চেয়েছিলাম অনুশীলন যেন ম্যাচের মতো পরিবেশে হয়। ব্যাটারদের জন্য খুব দরকার ম্যাচের মতো ‘মাসল মেমোরি’ তৈরি করা। যেন ওরা বুঝতে পারে, কাল যখন নামবে তখন এইরকম পরিস্থিতিই থাকবে। সিমন্স চাচ্ছিলেন ব্যাটারদের শেখাতে কীভাবে মিডল ওভারে সিঙ্গেল নিতে হয়, কীভাবে ঘুরিয়ে খেলা যায়। এজন্য স্পিনারদের ফিল্ড সেট করতেও বলা হয়েছিল। আজকের অনুশীলনটা তাই অনেকটা ম্যাচসদৃশ ছিল।”
মঙ্গুজ ব্যাট অপেক্ষাকৃত ছোট ব্যাট। সাধারণত ক্যাচিং অনুশীলনে এই ব্যাট ব্যবহার করা হয়। এছাড়া টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং অনুশীলনে পাওয়ার সুইংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় এই ব্যাট। টেস্ট ক্রিকেটে সুইং সমালানোর জন্যও এই ব্যাটের সুখ্যাতি আছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মিরপুরে পরের দুই ওয়ানডেতে এই পরীক্ষাই বেশি দিতে হবে। কেন এই ব্যাটে বাংলাদেশের অনুশীলন?
কারণ, ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুশতাক বলেছেন, ‘‘ছোট ব্যাট মানে হচ্ছে, তোমার গ্র্যাভিটি লেভেল নিচে নামানো। স্পিনিং উইকেটে তোমার মাথা বলের খুব কাছে থাকতে হবে। যদি ফুটওয়ার্কে আলসেমি করো, স্পিনার সহজে আউট করে ফেলবে। ছোট ব্যাট দিয়ে অনুশীলনের মানে হলো সামনে বা পেছনে খেলো, মাথা যেন সবসময় বলের কাছাকাছি থাকে। যখন ব্যাটাররা এমন ফুটওয়ার্ক ব্যবহার শুরু করে, তখন ভালো বলেও তারা সিঙ্গেল নেয়। আমি জানি, কেউ যদি আমার ভালো বলেও রান নিচ্ছে, তাহলে আমি ওকে পরের বলেই কিছু আলাদা দিতে বাধ্য হবো। তাই এই অনুশীলন খুব দরকারি।”
সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আগামীকাল দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে পারলে সিরিজ নিশ্চিত করবে। স্বাগতিকদের জন্য এই জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য অনুশীলনে ভিন্ন কিছু চেষ্টা করে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন শান্ত, সাইফ, সৌম্য, মিরাজরা। দেখার বিষয় এই প্রস্তুতি কতটা ম্যাচে কাজে লাগে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত পর ক ষ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতার দাফন হোমনায় সম্পন্ন, জানাজায় মানুষের ঢল
কুমিল্লার হোমনায় গ্রামের বাড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বাদ মাগরিব হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কলাগাছিয়া-কৃষ্ণপুর গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হোমনার কৃষ্ণপুর গ্রামে জোবায়েদের মরদেহ নিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি পৌঁছায়। তাঁর নিথর দেহ একনজর দেখার জন্য মানুষ ভিড় করতে থাকেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে ওঠে। জোবায়েদকে দেখতে আসা লোকজনের অনেকের চোখে অশ্রু দেখা যায়। পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মো. জোবায়েদ হোসেন