Samakal:
2025-11-03@20:21:24 GMT

পিএসএল খেলবেন তারা

Published: 14th, January 2025 GMT

পিএসএল খেলবেন তারা

কাছাকাছি সময়েই একদিকে চলবে ভারতে আইপিএল, অন্যদিকে পাকিস্তানে পিএসএল। বাংলাদেশের বাজারে বরাবরই আইপিএলের আকর্ষণ বেশি। ২৩ মার্চ শুরু হতে যাওয়া এবারের আসরে সেখানে বাংলাদেশের কোনো মুখ নেই। তাতে এবার হয়তো ভাগ বসাতে যাচ্ছে ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ টি২০। কেননা সেখানে এবার তিন-তিনজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে দেখা যাবে খেলতে।

গতকাল পিএসএলের ড্রাফট থেকে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন টপঅর্ডার ব্যাটার লিটন কুমার দাস, পেসার নাহিদ রানা ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর এদিন পাকিস্তানের লাহোর থেকে সুখবরটি পান লিটন। এদিনের ড্রাফটে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদরা থাকলেও প্রথম দফায় দল পাননি তারা।

পেসার নাহিদ রানা বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার আগে পাকিস্তান থেকে সুখবর পান। তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে পেশোয়ার জালমি। এপ্রিলে বাংলাদেশের কোনো সিরিজ নেই, তাই ছাড়পত্র পেলে সতীর্থ হিসেবে বাবর আজম, সায়েম আইয়ুবকে পাবেন তিনি। গতির ঝড় তুলে পাকিস্তানে দলকে টেস্ট জেতানো এই পেসার ড্রাফটে গোল্ড ক্যাটেগরিতে ছিলেন। ওই ক্যাটেগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৪৫ লাখ টাকা।

লিটন দাসকে সিলভার ক্যাটেগরি থেকে দলে নিয়েছে করাচি কিংস। একই ক্যাটেগরি থেকে রিশাদকে দলে ভিড়িয়েছে লাহোর কালান্দার্স। সিলভার ক্যাটেগরির ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার বা ২৩ লাখ টাকা। গোল্ড ক্যাটেগরির নাহিদ প্রথম দফার ডাকে দল পান। 
তবে লিটন দ্বিতীয় রাউন্ড ও রিশাদ তৃতীয় রাউন্ড থেকে দল পেয়েছেন। পিএসএল ড্রাফটে সবচেয়ে দামি প্লাটিনাম ক্যাটেগরিতে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ওই ক্যাটেগরিতে থাকা ৪৪ জন ক্রিকেটারের ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ