খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে দুর্বৃত্তের ছোঁড়া রাবার বুলেটে মো. রাশেদুল ইসলাম (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মানিকছড়ি বাজার মসজিদ এলাকার গোদারপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত রাশেদুল ইসলাম মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিমের (হুজুর) ছেলে ও মানিকছড়ির স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি বাজার মসজিদ সংলগ্ন রাজার গোদার পাড়ে বড় ভাই তানভীর ও রাশেদুল ইসলাম বসে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুর্বৃত্তের ছোঁড়া রাবার বুলেট তার পায়ে এসে লাগে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মানিকছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, বসে থাকা অবস্থা কে বা কারা তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়েছে প্রাথমিকভাবে সেটি জানা যায়নি। তবে অনুসন্ধানে জানার চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/রূপায়ন/ইমন

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ