হোয়াইট হাউসে প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে কাকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন ট্রাম্প
Published: 14th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম ইউরোপের কোন নেতাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকেরা বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মতো নেতাদের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, যাতে হোয়াইট হাউসের ঐতিহ্যবাহী ‘বিউটি প্যারেড’-এ সবার আগে কিয়ার স্টারমারকে রাখা যায়। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের পরবর্তী কয়েক দিনে হোয়াইট হাউসে বিদেশি নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। এটাকেই ‘বিউটি প্যারেড’ বলা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জিয়া মেলোনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচের মার-এ-লাগোয়, ৪ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’