পঞ্চগড়ে ট্রাক্টর উল্টে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৬) নামে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ট্রাক্টরে থাকা নাহিদ ইসলাম (১৪) ও মিজানুর রহমান (৩৫) নামে দুইজন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধায় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

মারা যাওয়া বিকাশ একই ইউনিয়নের লক্ষপতিপাড়া গ্রামের জিতেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে।

আরো পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ যুবকের মৃত্যু

মোটরসাইকেল-ভটভটি সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম জানান, জমি চাষাবাদ শেষে ট্রাক্টর নিয়ে ফিরছিলেন বিকাশ। মাটির রাস্তা থেকে চাকলাহাট-হাড়িভাসা আঞ্চলিক সড়কে উঠার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ট্রাক্টরটি। এসময় ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়েন বিকাশ ও তার সঙ্গে থাকা দুইজন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাশকে মৃত ঘোষণা করেন। 

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি এস.

এম মাসুদ পারভেজ বলেন, “এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ