বিসিবিকে তিন দিনের আল্টিমেটাম, লিগ বর্জনের হুমকি
Published: 14th, January 2025 GMT
গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন পেলে ঢাকা মেট্রোপলিটান ক্রিকেট কমিটির (সিসিডিএম) প্রতিনিধিত্ব করা ৭৬ ক্লাব লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছে। ক্লাবের প্রতিনিধিরা বোর্ডকে জানিয়েছে, তাদের দাবি-দাওয়া মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তারা।
গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে সিসিডিএমের প্রতিনিধিরা ১৭ জানুয়ারি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। সেখানে গঠনতন্ত্র সংশোধনের সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন তারা। বোর্ড বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে না দেখলে ঢাকা ভিত্তিক ক্লাবগুলোকে লিগ থেকে প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে। যার অর্থ ১৬-২০ হাজার ক্রিকেটারের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।
বিসিবির বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে পরিচালনা পর্ষদের ২৫ সদস্যের মধ্যে ক্যাটাগরি-২ তে ১২টি পদ নির্ধারিত আছে ঢাকার বিভিন্ন ধাপের ক্লাবের জন্য। সংশোধিত ক্যাটাগরি-২ এর কাউন্সিলরের সংখ্যা ৫৬টি থেকে ৭৬টিতে উন্নীত করা হয়েছে। তবে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের নেতৃত্বাধীন গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি সিসিডিএম বিলুপ্তির প্রস্তাব করেছে।
সিসিডিএম সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ক্যাটাগরি-২ তে কাউন্সিলারের সংখ্যা ৭৬ থেকে ৩০ এ নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদে পরিচালকের সংখ্যা ১২ থেকে ৪-এ নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সিসিডিএম আওতাধীন ক্রিকেট ক্লাবসমূহের মতবিনিময় সভায় গঠনতন্ত্রের খসড়া সংশোধনীতে সিসিডিএম বিলুপ্তি, ক্লাব কোটার কাউন্সলরশিপ কমিয়ে আনা এবং পরিচালনা পরিষদের সদস্যসংখ্যা হ্রাসের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বাতিল করতে বিসিবির পরিচালনা পরিষদকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বিসিবির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক এবং বিসিবির দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবু।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’