এইচএমপিভি রোধে ব্যবস্থা নেই নাকুগাঁও স্থলবন্দরে
Published: 16th, January 2025 GMT
পাসপোর্টধারী যাত্রী ছাড়াও শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক দুই দেশের মধ্যে চলাচল করছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াত করছেন লোকজন।
সম্প্রতি ভারতসহ কয়েকটি দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু রোগটির বিস্তার ঠেকাতে এই স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্কতামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা না পেলেও তারা মৌখিকভাবে সবাইকে সচেতন করে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নাকুগাঁও স্থলবন্দরে বাড়তি কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সব জায়গায় আগের মতোই কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সব কার্যক্রম চলছে। সেই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে যাতায়াতকারী ট্রাকচালক ও সহকারীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অবাধে চলাচল করছেন।
কয়েকজন পাসপোর্টধারী যাত্রী জানালেন, তাদের কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আসতে হচ্ছে না।
বন্দর পার্শ্ববর্তী স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন, তারা এ ভাইরাস সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আবার অনেক সচেতন নাগরিক বলছেন, এই ভাইরাস যেহেতু ভারতে শনাক্ত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি বসানো দরকার।
পাসপোর্টধারী যাত্রী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, এইচএমপিভি সম্পর্কে তিনি মোটামুটি জানেন। করোনার মতো এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে মুশকিল হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কর্তৃপক্ষের উচিত সতর্কতার সঙ্গে যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। আগে থেকে সচেতন থাকলে সমস্যা হবে না।’
এলাকার সচেতন মানুষ বলছেন, এখানে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকা হওয়ায় শত শত পাসপোর্টধারী যাত্রী, ট্রাকচালক ও সহকারী বাংলাদেশে আসেন যার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য মেডিকেল টিম রাখা ও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমানের সঙ্গে। ভাইরাসটির নাম কখনও শোনেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের নাম শুনেছিলাম। করোনার সময়তো এই বন্দর বন্ধ ছিল। যদি নতুন করে কোনো ভাইরাস আসে, তাহলে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজন হলে বন্দরের ভেতরে কিংবা বাইরে পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি রাখতে হবে।’
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলামের ভাষ্য, এইচএমপিভি নিয়ে সরকারিভাবে তাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই তেমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে পরীক্ষা ছাড়াই পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। মৌখিকভাবে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। নির্দেশনা এলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব স থ য পর ক ষ এইচএমপ ভ ব যবস থ সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’