শিক্ষা প্রকৌশল প্রধান পদে বসতে দৌড়ঝাঁপ
Published: 16th, January 2025 GMT
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরীর চাকরির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ১৯ জানুয়ারি। এ জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদে বসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এ দৌড়ে এগিয়ে আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রায়হান বাদশাহ। এ ছাড়া আফরোজা বেগম, সমীর কুমার রজক দাস, মো.
জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রায়হান বাদশাহকে প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি তিন মাস দায়িত্ব পালন করেন। পরে সবার কনিষ্ঠ জালাল উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দিয়ে রায়হান বাদশাহকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকৌশলী জানান, রায়হান বাদশা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত একজন প্রকৌশলী। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁকে সৈয়দপুরের বিহারি এবং ছাত্রজীবনের বিশেষ তকমা লাগিয়ে প্রধান প্রকৌশলী পদে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এমনকি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ খালি থাকলেও তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
ইইডির প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরী সমকালকে বলেন, এটি আসলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বসানোর কোনো পদ নয়। এখানে যাকে যোগ্য মনে করে, সরকার তাকে বসায়। আমার ক্ষেত্রেও জ্যেষ্ঠতার নীতি মানা হয়নি। উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব যাকে উপযুক্ত ও যোগ্য মনে করবেন, তাকে বসাবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্রে সশস্ত্র বাহিনী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি দাবি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের অবদানের স্বীকৃতি জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণ-অভ্যুত্থানে অবদান রাখা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
‘গৌরবোজ্জ্বল জুলাই ৩৬’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। মতবিনিময়ে অংশগ্রহণকারী সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও দলটির নেতারা এ দাবি জানান। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘যখন রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একীভূত হয়, তখনই মুক্তিযুদ্ধ বা গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা হয়। আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে বিবেকের দায় থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা রাজনৈতিক দাবিতে রাজপথে নামেন না। কিন্তু সেদিন ডিওএইচএসগুলোতে সেই রীতির ব্যত্যয় ঘটিয়েছিলেন বলেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনী গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পেরেছিল। তাঁদের মাঠে নামার কারণেই গণ-অভ্যুত্থান সহজ হয়েছে।’
এ সময় সাবেক সেনা কর্মকর্তা মনিশ দেওয়ান বলেন, সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। জগদ্দল পাথরকে সরানো গেলেও তা সম্পূর্ণরূপে সরানো যায়নি। ফুটো বল দিয়ে খেলা চলে না।
লে. কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘দুই–একজনের অপকর্মে পুরো বাহিনী কলুষিত হতে পারে না। জুলাইয়ের যুদ্ধ এখনো চলমান। সংস্কার দরকার মিডিয়া ও সশস্ত্র বাহিনী উভয় ক্ষেত্রেই। সংস্কার থাকলে হয়তো হিলি বা কাউল পালাতে হতো না। সংস্কারবিহীন নির্বাচন মানেই স্বৈরতন্ত্রের পুনর্বাসন।’
মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার বলেন, দেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের উচিত অবিলম্বে ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা।
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের সঞ্চালয়নায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ও আমিরুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) মোশাররফ, মেজর (অব.) জিয়া, লেফটেন্যান্ট (অব.) খান সোয়েব আমানুল্লাহ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ইমরান ও জামাল উদ্দিন, মেজর (অব.) আফসারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।