শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরীর চাকরির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ১৯ জানুয়ারি। এ জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদে বসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এ দৌড়ে এগিয়ে আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রায়হান বাদশাহ। এ ছাড়া আফরোজা বেগম, সমীর কুমার রজক দাস, মো.

মিনহাজুল হক, মো. তারেক আনোয়ার জাহেদী ও জালাল উদ্দিন চৌধুরীর নামও শোনা যাচ্ছে।

জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রায়হান বাদশাহকে প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি তিন মাস দায়িত্ব পালন করেন। পরে সবার কনিষ্ঠ জালাল উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দিয়ে রায়হান বাদশাহকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকৌশলী জানান, রায়হান বাদশা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত একজন প্রকৌশলী। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁকে সৈয়দপুরের বিহারি এবং ছাত্রজীবনের বিশেষ তকমা লাগিয়ে প্রধান প্রকৌশলী পদে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এমনকি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ খালি থাকলেও তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।

ইইডির প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরী সমকালকে বলেন, এটি আসলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বসানোর কোনো পদ নয়। এখানে যাকে যোগ্য মনে করে, সরকার তাকে বসায়। আমার ক্ষেত্রেও জ্যেষ্ঠতার নীতি মানা হয়নি। উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব যাকে উপযুক্ত ও যোগ্য মনে করবেন, তাকে বসাবেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ