বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’, বরখাস্ত অর্থ পরিচালক
Published: 16th, January 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনার লোগো ব্যবহার করায় সাময়িক বরখাস্ত হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ৪ লঙ্ঘিত হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের চিঠিতে সই করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বরখাস্তের চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউসিজি) পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, সরকারি ভ্যাট ও উৎসে কর পরিশোধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের বিপরীতে গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি পত্রে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ লেখা সম্বলিত লোগো ব্যবহার করেন অর্থ পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার। নিজের স্বাক্ষরিত ওই পত্রে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান সম্বলিত লোগো ব্যবহার করায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে বিধি অনুযায়ী খোরপোষ হিসেবে তিনি অর্ধেক বেতন ভাতা পাবেন।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ মাহমুদকে অর্থ পরিচালকের পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে উপাচার্য কার্যালয় থেকে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গোলাম সরোয়ারের মোবাইল ফোনে বুধবার রাতে মন্তব্য জানতে কল করা হয়। কিন্তু তিনি তা রিভিস করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ বরখ স ত বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।