শুধু সহায়তাই নয়, কৃষকদের জীবনমানেরও উন্নতি চান কৃষি উপদেষ্টা
Published: 16th, January 2025 GMT
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, “কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। আমাদের দায়িত্ব শুধু কৃষকদের সহায়তা করাই নয় বরং তাদের জীবনমান উন্নত করা এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য কাজ করা।”
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তিনি রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ মিলনায়তনে ৪৩ তম বিসিএস (কৃষি) ক্যডারে নব যোগদানকৃত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে কৃষি। আমাদের মোট শ্রমশক্তির একটি বিশাল অংশ প্রায় ৪০.
যোগদানকৃত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, “কৃষিখাতে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার সংমিশ্রণ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমির অবক্ষয়, কৃষি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির রূপান্তর-এসবই আমাদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। মেধা, উৎসাহ এবং সেবার মনোভাব এই খাতকে আরও উন্নত করবে। আপনারা যেখানেই কাজ করবেন, সেখানকার কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন তথা কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নে আপনারা হয়ে উঠবেন নেতৃত্বের আলো।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি এটি আমাদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে বিশেষ দায়িত্বশীল হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি যেন সবসময় পেশাদার হয়। পোস্ট, মন্তব্য এবং শেয়ার করা তথ্যের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব প্রতিফলিত হতে হবে।”
কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আপনাদের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তথ্য থাকবে। এসব তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন এবং নিশ্চিত করুন যে কোনো গোপন বা সংবেদনশীল তথ্য যেন জনসমক্ষে না আসে।”
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা।
ঢাকা/এএএম/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল