প্রতিবেশী দেশ ভারতে নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটোপনিইমোন (এইচএমপিভি) ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় দেশের সীমান্ত বৈধ রুটের মধ্যে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আগাম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীদের করা হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্যকর্মীরা পাসপোর্ট যাত্রীদের এইচএমপিভি ভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে কিনা পরীক্ষা করছেন। তাদের তাপমাত্রা দেখা হচ্ছে।’’

‘‘জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা রয়েছে কিনা দেখা হচ্ছে। তবে, জেলায় এখনো কোনো এইচএমপিভি ভাইরাসের রোগী ধরা পড়েননি।’’ - যোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা বলছেন, ভারতের ওপারে কোনো পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে, বাংলাদেশে পরীক্ষা করিয়ে তারা সন্তুষ্ট।

তবে, ভোমরা বন্দরে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও হেলপারদের কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত তাদেরও পরীক্ষার আওতায় আনার দাবি সুশীল সমাজের।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএমপ ভ পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ