কালিয়া উপজেলার ফিরেছে জারি গানের আসর
Published: 16th, January 2025 GMT
চলছে শীতকাল। এক যুগ আগেও এমন সময়ে গ্রামে-গঞ্জে জারি-সারি গানের আসর বসত। যে আসরে নামি দামি বয়াতিরা নানা রঙে ঢঙে গান গেয়ে মাত করতেন। এখন তা কেবল অতীত! তবে মাঝে মাঝে এখনও গ্রামে তেমন আসর বসে। তাতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয় মানুষের মাঝে।
সম্প্রতি নওয়াগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় জারি গানের বিশাল আয়োজন করা হয়। যেখানে গান পরিবেশ করেন বয়াতি রওসন আলি ও নাসিমা আক্তার সাথী। গানে গানে তারা শরিয়ত মারেফতের বিষয়েও আলাপ করেন।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন নড়াইল ভিকটোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম।
স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে হওয়া আয়োজনটির পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন পুরুলিয়া ইউনিয়নের ২ নং ও ৩ নং ওয়াডের বর্তমান মেম্বার মোঃজিয়ার মোল্ল্যা ও সাবেক মেম্বার মোঃ সেলিম মোল্ল্যা ও এলাকার লাভলু মোল্ল্যা।
আয়োজনটিতে কালিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’