‘এইচএমপি ভাইরাসে মারা যাওয়া নারী জটিল রোগেও আক্রান্ত ছিলেন’
Published: 16th, January 2025 GMT
দেশে প্রথমবার হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত হয়ে সানজিদা আক্তার (৩০) নামে এক নারী মারা গেছেন। তবে তিনি এই ভাইরাসে মারা গেছেন, সেটি সরাসরি বলা যাবে না। তিনি অন্যান্য জটিল রোগেও আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশে এইচএমপি ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে করা প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, ‘‘এইচএমপি ভাইরাসে সাধারণত কেউ মারা যায় না। ওই নারী এইচএমপি ভাইরাসে মারা গেছেন সেটি সরাসরি বলা যাবে না। একমাস আগে তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন। তিনি এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি অন্যান্য জটিল রোগেও আক্রান্ত ছিলেন।’’
ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, ‘‘তবে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বার বার হাত ধোয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরলে সংক্রমণ কম হবে।’’
প্রয়োজনে হাসপাতালগুলোতে আবার করোনার মত ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান সায়েদুর রহমান। এ সময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দেন।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’