হাছান মাহমুদের পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
Published: 16th, January 2025 GMT
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তার পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে আটটি, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার ১৪টি, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ছয়টি, হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট তিনটি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস ছয়টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড তিনটি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের দুটি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের একটি ব্যাংক হিসাব হয়েছে।
এদিন দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নূরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটেড, একাডেমি অফ মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.
দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সব সম্পদ উত্তোলন, স্থানান্তর বা মালিকানাসত্ত্ব বদলরোধে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ১০ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডাকসু সংবিধানের ৮-এফ ধারার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এ নিয়োগ প্রদান করেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ অনুমোদন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি
১৭ বছর পর দেশের ইতিহাসের সুন্দর নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে আরো নয় জন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম মহিউদ্দিন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।
রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচন পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পূর্বে ডাকসু নির্বাচনে ছয় সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন থাকলেও এবার কমিশনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ১০ জন করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা ও সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী