কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ চুরির মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বিকেলে ৩টার দিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া এলাকার রমজানের ছেলে রেজাউল হক (৩৮), ইদ্রিসের ছেলে মমিনুল ইসলাম সজিব (৩৭) ও আইনুল শেখের ছেলে পাপ্পু শেখ (২৫)।  

পুলিশ জানায়, উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া ব্রিজঘাট এলাকায় গড়াই নদীর ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত কয়েক লাখ টাকার লোহার পাইপ রাখা ছিল। সেগুলো গত বুধবার রাতে গ্যাসের সাহায্যে কেটে চুরি করছিল একটি চক্র। এ সময় খবর পেয়ে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয় পাইপ ও গ্যাসের সিলিন্ডার।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি চুরির মামলা করেন পাউবোর এক কর্মকর্তা। উক্ত মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আসামি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার (ওসি) মো.

সোলায়মান শেখ বলেন, প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের লোহার পাইপ চুরির অভিযোগে পাউবো কর্তৃপক্ষ মামলা করেছেন। উক্ত মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/কাঞ্চন/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

প্রকারভেদ

কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—

মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।

শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।

সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।

কেন করা হয়?

এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—

কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।

সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।

কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

ডিপ্রেশন বা হতাশা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া

আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া

আত্মহত্যার প্রবণতা

শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া

মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।

প্রতিরোধের উপায়

ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।

প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব