পুরুষদের বিপিএলের পরই নারীদের বিপিএল
Published: 17th, January 2025 GMT
মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আয়োজনের কথা বহুবার শোনা গিয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার মেয়েদের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শিগগিরই শুরু হওয়ার পথে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে নারী বিপিএল।
এ বিষয়ে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছেলেদের বিপিএল শেষ হওয়ার পরেই মিরপুরে শুরু হবে মেয়েদের বিপিএল। টুর্নামেন্টে তিনটি দল অংশ নেবে, প্রতিটি দল ১৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটার ও একজন বিদেশি ক্রিকেটার নিতে পারবে। প্রথম পর্বে তিনটি দল দু'বার পরস্পরের বিপক্ষে খেলবে, এরপর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
নারী ক্রিকেটের উন্নতির জন্য এই লিগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী ফাহিম। তিনি বলেন, ‘আমরা নারী ক্রিকেটের এই প্রতিযোগিতা শুরু করতে চাই এবং দেখতে চাই, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এটি কীভাবে প্রভাব ফেলবে। আশা করছি, এটি নারী ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
আজ টুর্নামেন্টটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফাহিম জানান, ‘আমরা উইমেন্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করব, তিনটি দল নিয়ে। বিপিএল শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে। এই লিগের সময়সীমা হবে ৮-৯ দিন।’
দল কম হওয়ার বিষয়ে ফাহিম বলেন, ‘আমাদের দেশে নারী ক্রিকেটারদের মানসম্পন্ন সংখ্যা খুব বেশি নেই, তাই আপাতত তিনটি দল নিয়ে লিগ শুরু করতে হচ্ছে। তবে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের আগ্রহ এবং যোগ্যতা যাচাই করে দ্রুতই তিন দলের নাম ও মালিকানা চূড়ান্ত করা হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল দ র ব প এল হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’