‘আমার কাছে শিশুর চেয়ে বালুর মূল্য বেশি’
Published: 17th, January 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় চার বছরের শিশুকে পুকুরে ফেলে দেন এক শিক্ষক। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়িতে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত শাহজাহান বুড়িচং উপজেলা সদরের ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজ অব টেকনোলজির শিক্ষক। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শাহজাহানকে শিশুটির মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি পুকুরে ফেলার কথা স্বীকার করেন। শিশুটি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এজাহারে বলা হয়, বুড়িচং থানার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা নজির আহম্মেদের দুই মেয়ে– চার বছরের মিফতাহুল মাওয়া ও ১০ বছরের গালিবা সুলতানা বালু নিয়ে খেলা করছিল প্রতিবেশী শাহজাহানের বাড়ির সামনে। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে মিফতাহুলকে মারধর করে পুকুরে ফেলে দেন। এ সময় গালিবা চিৎকার করলে শাহজাহান তাকেও মারধর করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুকুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটির মা শামছুন নাহার তানিয়া অভিযুক্ত শাহজাহানকে বলছিলেন, ‘আপনার মধ্যে কি মনুষ্যত্ব নাই? আমার বাচ্চাকে এভাবে পানিতে ফেলে দিলেন! একটু বালু ফেলে দিয়েছে বলে বাচ্চাকে পুকুরে ফেলে দেবেন?’ তখন ওই ব্যক্তি পাল্টা বলেন, ‘তোমার বাচ্চা নাকি কার বাচ্চা– এটা আমি দেখব না। আমার কাছে শিশুর চেয়ে বালুর মূল্য বেশি। তোমার বাচ্চা আমার এখানে আসবে কেন?’
শিশুটির মা তানিয়া বলেন, ‘আমার সন্তানকে মাস্টার শাহজাহান হত্যার চেষ্টা করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। ঘটনার সময় যদি আমার বড় মেয়ে উপস্থিত না থাকত, তাহলে বাচ্চাকে হত্যা করা হতো।’
ঘটনার পর শাহজাহান আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর মোবাইল পাওয়া গেছে।
বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, শুক্রবার সকালে শিশুর মা বাদী হয়ে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত