নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। বিকেলে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ময়ূরপঙ্খী মঞ্চে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পীদের প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল বরাদ্দ হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ৬৪ জন কারুশিল্পী এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন বলে ফাউন্ডেশন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আবহমান গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এ মেলা ও উৎসব আয়োজন করে আসছে। ১৯৯১ সাল থেকে নিয়মিত চলছে এই উৎসব। গতকাল শুক্রবার সকালে ফাউন্ডেশন চত্বরে দেখা যায়, পুরো চত্বর রং-বেরঙে সেজেছে। প্রধান ফটকের সামনে থেকে সড়কে দুই পাশে ঝোলানো হয়েছে আনন্দ পতাকা। ফাউন্ডেশনের অফিসকক্ষের সামনে দেখা যায় দৃষ্টিনন্দন কাগজের তৈরি ময়ূর। পুরো চত্বরজুড়ে আল্পনা আঁকা। 
এ সময় মেলা চত্বরে দোকানিদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। কেউ কেউ শেষ সময়ে বাঁশ ও কাঠের সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত। এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী, লোকজ প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো আয়োজনও থাকছে। 
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

মফিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি থাকার কথা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও পুলিশ 
সুপার  প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য দেবেন ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ কে এম আজাদ সরকার।
ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারের মেলায় সোনারগাঁয়ের জামদানি, মৌলভীবাজার ও মুন্সীগঞ্জের শীতলপাটি, মাগুরা ও ঝিনাইদহের শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মৃৎশিল্প; কক্সবাজারের শাঁখা ও ঝিনুক শিল্পসহ শিল্পীরা অংশ নেবেন। প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে বাউলগান, পালাগান, লোকসংগীত শিল্পীদের পরিবেশনা থাকবে। তারা লোকগীতি পরিবেশনা করবেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫