১০৮৯ এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত
Published: 4th, November 2025 GMT
‘শর্তসাপেক্ষে’ ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস. এম. মাসুদুল হক জানান, এমপিওভুক্তির আবেদন করা এই মাদ্রাসাগুলোর ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। যেসব প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গত জুলাই মাসে দেড় হাজারেরও বেশি অনুদানভুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওর জন্য আবেদন করেছিল। বর্তমানে দেশে ১ হাজার ৫১৯টি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে প্রধান শিক্ষকরা মাসে ৫,০০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন ৩,০০০ টাকা করে অনুদান। এছাড়া, ৫,৯০০টির বেশি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে যেগুলো কোনো সরকারি সহায়তা পায় না।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আলিয়া পদ্ধতির এই এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো ইসলামি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে।
শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকার এ বছরের শুরুতে ধাপে ধাপে এই মাদ্রাসাগুলোকে জাতীয়করণের আশ্বাস দেয়। পরে আন্দোলন তীব্র হলে জানুয়ারিতে মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়।
গত ২৫ জুন জারি হওয়া নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি মাদ্রাসায় ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে—প্রধান শিক্ষক পাবেন ১০ম গ্রেডে, সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে এবং ক্বারী বা নূরানী শিক্ষকরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। এছাড়, ২০তম গ্রেডে একটি অফিস সহায়ক পদও সৃষ্টি করা হয়েছে।
নীতিমালায় এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক নিয়োগ দেবে ম্যানেজিং কমিটি।
এছাড়া, মাদ্রাসাগুলোর মূল্যায়নের জন্য একাডেমিক পারফরম্যান্স, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যা ও পরিবেশসহ বিভিন্ন সূচকে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
একই নীতিমালায় মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা প্রয়োজনীয় যাচাই শেষে মাদ্রাসাগুলোর জন্য এমপিও কোড প্রদান করবে।
সব এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে ১৩ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। সোমবার তারা বিক্ষোভ মিছিল করার পরিকল্পনা করলেও প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের খবর পাওয়ার পর তা স্থগিত করেন।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম বলেন, “আমাদের জানানো হয়েছে যে ১,০৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে। এজন্য আমরা মিছিল করিনি, তবে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকর এমপ ও
এছাড়াও পড়ুন:
১০৮৯ এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত
‘শর্তসাপেক্ষে’ ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস. এম. মাসুদুল হক জানান, এমপিওভুক্তির আবেদন করা এই মাদ্রাসাগুলোর ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। যেসব প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গত জুলাই মাসে দেড় হাজারেরও বেশি অনুদানভুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওর জন্য আবেদন করেছিল। বর্তমানে দেশে ১ হাজার ৫১৯টি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে প্রধান শিক্ষকরা মাসে ৫,০০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন ৩,০০০ টাকা করে অনুদান। এছাড়া, ৫,৯০০টির বেশি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে যেগুলো কোনো সরকারি সহায়তা পায় না।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আলিয়া পদ্ধতির এই এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো ইসলামি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে।
শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকার এ বছরের শুরুতে ধাপে ধাপে এই মাদ্রাসাগুলোকে জাতীয়করণের আশ্বাস দেয়। পরে আন্দোলন তীব্র হলে জানুয়ারিতে মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়।
গত ২৫ জুন জারি হওয়া নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি মাদ্রাসায় ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে—প্রধান শিক্ষক পাবেন ১০ম গ্রেডে, সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে এবং ক্বারী বা নূরানী শিক্ষকরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। এছাড়, ২০তম গ্রেডে একটি অফিস সহায়ক পদও সৃষ্টি করা হয়েছে।
নীতিমালায় এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক নিয়োগ দেবে ম্যানেজিং কমিটি।
এছাড়া, মাদ্রাসাগুলোর মূল্যায়নের জন্য একাডেমিক পারফরম্যান্স, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যা ও পরিবেশসহ বিভিন্ন সূচকে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
একই নীতিমালায় মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা প্রয়োজনীয় যাচাই শেষে মাদ্রাসাগুলোর জন্য এমপিও কোড প্রদান করবে।
সব এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে ১৩ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। সোমবার তারা বিক্ষোভ মিছিল করার পরিকল্পনা করলেও প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের খবর পাওয়ার পর তা স্থগিত করেন।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম বলেন, “আমাদের জানানো হয়েছে যে ১,০৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে। এজন্য আমরা মিছিল করিনি, তবে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/এএএম/ইভা