বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। একষট্টি বছর বয়সেও ধারাবাহিকভাবে ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়ে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। মেধা, কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ় সংকল্প তাকে ‘সুপারস্টার’ মর্যাদা এনে দিয়েছে। যশ-খ্যাতির পাশাপাশি অঢেল সম্পদের মালিক ‘কিং খান’। তবে শাহরুখ খান নিজের কৃতিত্ব নিজে নেন না। বরং এই সাফল্যের কৃতিত্ব তার জীবনের নারীদেরকে দিয়েছেন। বিশেষ করে তার সহঅভিনেত্রীদের।

এর আগে দ্য গার্ডিয়ান-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। এ আলাপচারিতায় তার জীবনের নারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।

আরো পড়ুন:

জাতীয় দল থেকে অবসরে স্বর্ণ জয়ী রোমান সানা

ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন

শাহরুখ খান বলেন, “খুব ছোটবেলায় আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি, তারপর মাকেও। কিন্তু আমার জীবনের নারীরা, অভিনেত্রীরা—আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন। আমি আজ যা কিছু, সবই তাদের (নারী) কারণে। তারাই সব কাজ করেন, আর বেশিরভাগ সময় আমি সেই কাজের কৃতিত্ব নিয়ে নিই। আমি শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে কেউ শাহরুখ খান হয়ে ওঠেননি। কিন্তু আমি চাই তারা হোক। আমি অহংকার করছি না।”

বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত, জুহি চাওলা ও কাজলের উদাহরণ টেনে শাহরুখ খান বলেন, “নাচের দৃশ্যে মাধুরী দীক্ষিত আমার হাত ধরে রাখতেন, সে আমাকে লিড দিয়েছে, আমি নই। জুহি চাওলা আমাকে কমেডি টাইমিং শিখিয়েছে, কাজল আমাকে কাঁদতে শিখিয়েছে। তারা প্রাণপণে কাজ করেছে, আর সিনেমা শেষে বলা হয়—‘শাহরুখ খান: দ্য সুপারস্টার’। আমি জানি এটা। আমি এসব অস্বীকার করতে পারি না, কোনোদিন ভুলবও না। আমি আজ যেখানে আছি, সবই নারীদের জন্যই।”

“আমার ভদ্রতা, সৌজন্যতা, জেন্টলম্যান সুলভ আচরণ—সবই তাদের প্রতি আমার ধন্যবাদ জানানোর উপায়। তারা সিনেমায় অসাধারণ কাজ করে, প্রতিটি সিনেমাতেই।” বলেন শাহরুখ খান।

নারী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেছিলেন, “পুরুষেরা তাদের অনুভূতিকে ভাগ করে রাখে। কিন্তু নারীরা অনেক বেশি সূক্ষ্ম ও ব্যাপকভাবে অনুভব করেন। তারা সব দিকেই ছড়িয়ে যান। আমার মনে হয়, আমি নারীদের সঙ্গে করতে উপভোগ করি। কারণ নারীদের সংবেদশীলতা। তারা সিনেমাকে আরো সুন্দর করে তোলেন।”

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা।

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী।

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা।

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন মোট পাঁচবার।  তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৯ ১১ ব শ ষ র প রস ক র র জন য ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আবার কি চাঁদের বুকে পা রাখতে যাচ্ছে মানুষ

শত শত বছর ধরে মানুষকে আকর্ষণ করে আসছে চাঁদ। সেখানে মানুষের প্রথম পা রাখার প্রায় ৫৫ বছর পেরিয়ে গেছে। এখন আবারও বিজ্ঞানীরা চন্দ্রজয়ের তোড়জোড় শুরু করেছেন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাইছে সবার আগে চাঁদে মিশন পাঠাতে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে চাঁদে নভোচারীসহ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বর মাসে নাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপ্রশাসক লেকিশা হকিন্স এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছিলেন।

নাসার তথ্যানুযায়ী, চন্দ্রজয়ে ‘আর্টেমিস ২’ নামের মিশন পরিচালনা করা হবে। এ মিশন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা চাঁদে অবতরণের জন্য নির্ধারিত ‘আর্টেমিস ৩’ মিশনে ব্যবহার করা হবে। ২০২৭ সালে এ মিশন পরিচালিত হবে। নাসার এই তৃতীয় আর্টেমিস অভিযানের মাধ্যমে ৫৭ বছরের বেশি সময় পর আবার চাঁদের বুকে মানুষের পা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নাসার কর্মকর্তা হকিন্সের তথ্যানুযায়ী, নাসার আর্টেমিস ২ মিশনে প্রথম নভোযান উৎক্ষেপণের সুযোগ আসতে পারে ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগে পরিকল্পিত উৎক্ষেপণ তারিখ ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে। তবে সময় কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে।

এ মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো মহাকাশযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিস্টেম পরীক্ষা করা, যেমন নভোচারীর জীবনধারণব্যবস্থা। এসব অভিজ্ঞতা ২০২৭ সালে চাঁদে অবতরণের জন্য নির্ধারিত আর্টেমিস ৩ মিশনে ব্যবহার করা হবে।

পাঁচ দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ কর্মসূচি আর্টেমিস, যাতে নভোচারী নিয়ে চাঁদে মিশন পাঠানো হবে।

হকিন্স বলেন, নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো চাঁদে মানুষের অব্যাহত উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এর অংশ হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক অংশীদার, বিশেষ করে ইউরোপের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি প্রযুক্তি পরীক্ষা করা হবে, যা প্রথম নভোচারীদের পরবর্তী গন্তব্য মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে দিতে সাহায্য করতে পারে।

পাঁচ দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ কর্মসূচি আর্টেমিস, যাতে নভোচারী নিয়ে চাঁদে মিশন পাঠানো হবে। অ্যাপোলো প্রোগ্রামের এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মূলত চীনকে পেছনে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র আগাম এ মিশনের পরিকল্পনা করেছে।

চীনের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানো। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে সবার আগেই সাফল্য পেতে মরিয়া। এরই মধ্যে চীন ২০৩০ সালের আগে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। নতুন রকেট ও নানা ধরনের চন্দ্র ল্যান্ডার নিয়ে বেইজিং বেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

আর্টেমিস ও অ্যাপোলো কর্মসূচির মধ্যে বড় এক পার্থক্য রয়েছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র অন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা ছাড়াই চন্দ্র মিশনে যাচ্ছে। এর আগে ২০২২ সালে চাঁদের মিশনের অংশ হিসেবে আর্টেমিস ১ কর্মসূচিতে নভোচারী ছাড়া প্রথম ওরিয়ন ক্যাপসুল উৎক্ষেপণ করা হয়।

এখন দ্বিতীয় মিশনটি চাঁদের কক্ষপথে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এত ওরিয়ন ক্যাপসুল, এসএলএস রকেট এবং ভবিষ্যতে চাঁদে অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যপ্রণালি যাচাই করা হবে।

আর্টেমিস ২-এ কী কী থাকবে

আর্টেমিস ২-এর অভিযান প্রায় ১০ দিন চলবে এবং এতে চারজন নভোচারী ১২ লাখ মাইলের বেশি দূরত্ব পাড়ি দেবেন। পৃথিবীর কক্ষপথে দুবার ঘুরে আসার পর ওরিয়ন ক্যাপসুলে থাকা চারজন ক্রু সদস্য চাঁদের দিকে যাত্রা করবেন এবং একবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবেন।

নভোচারীরা ক্যাপসুলের জানালা থেকে চাঁদের দূরপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সময় চাঁদ থেকে তাদের নিকটতম দূরত্ব হবে প্রায় ৪ হাজার ৩৫০ মাইল (৭ হাজার কিলোমিটার)। নাসার এ যাত্রার সময় নভোচারীরা যেসব দৃশ্য দেখবেন, তা একটি টাইম-ল্যাপ ভিডিওতে ধরে রাখবেন।

টাইম-ল্যাপ ভিডিও হলো এমন একটি ভিডিও, যা সময়কে দ্রুততর গতিতে দেখায়। এতে দীর্ঘ সময়ের ঘটনা যেমন ঘণ্টা বা দিনের পরিবর্তন কয়েক মিনিট বা সেকেন্ডে দেখানো যায়। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত, বৃষ্টি বা শহরের ব্যস্ততা এক ঝলকে দেখা।

আর্টেমিস প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মোট তিনটি মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য মানুষকে চাঁদে ফিরিয়ে নেওয়া এবং মঙ্গলে পাড়ি দেওয়া। এ প্রোগ্রামের প্রথম ধাপ, অর্থাৎ আর্টেমিস ১ উৎক্ষেপণ করা হয় ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর। এটা ছিল একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। ওই মিশনে কোনো মানুষ ছিলেন না। বরং মানুষের পরিবর্তে ছিল তিনটি পুতুল।

আর্টেমিসের মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পৌঁছাবে। অনাবিষ্কৃত অনেক এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে।লেকিশা হকিন্স, উপপ্রশাসক, নাসা

পরীক্ষামূলকভাবে পুতুলগুলোকে পাঠানো হয়েছিল। আর্টেমিস ২ মিশনও অনেকটা আর্টেমিস ১ মিশনের মতোই সম্পন্ন হবে। শুধু পুতুলের পরিবর্তে নভোযানে থাকবেন চার নভোচারী। ২০২৭ সালে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করবে আর্টেমিস ৩। আর্টেমিস ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। ইতিমধ্যে অবতরণের সম্ভাব্য ১৩টি স্থানের নামও প্রকাশ করেছে নাসা।

চাঁদের এই অবস্থান পুঙ্খানুপুঙ্খ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রকৌশলীদের তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত প্রস্তাবিত অবতরণ অঞ্চল হচ্ছে ক্যাবিউস বিয়ের কাছের শিখর, হাওর্থ, ম্যালাপার্ট ম্যাসিফ, মন্স মাউটন মালভূমি, মনস মাউটন, নোবিল রিম ১, নোবিল রিম ২, ডি গের্লাচে রিম ২ ও স্লেটার প্লেইন।

নাসা জানিয়েছে, স্থানগুলো পাথুরে। এসব এলাকা থেকে চন্দ্রসম্পদ ও সৌরজগতের বিস্তৃত ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লাভের সুযোগ আছে। মনুষ্যবাহী অভিযানের মাধ্যমে অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুর বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। এ এলাকা স্থায়ীভাবে অন্ধকার অঞ্চল, যেখানে পানির উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাসার বিজ্ঞানী লেকিশার ভাষ্য, আর্টেমিসের মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পৌঁছাবে। অনাবিষ্কৃত অনেক এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে। নতুন নির্বাচিত চন্দ্র এলাকা দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত। এসব এলাকায় নিরাপদে অবতরণ করার সুযোগ আছে। অভিযাত্রীরা সেখানে নতুন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।

বিজ্ঞানী সারাহ নোবেল বলেন, অ্যাপোলো অভিযানের সময় যেখানে অবতরণ করা হয়, তার চেয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ দেখা যায়। এ এলাকায় চাঁদের প্রাচীনতম ভূখণ্ড রয়েছে। এখানে ঠান্ডা ছায়াযুক্ত অঞ্চলে পানি ও অন্যান্য যৌগ থাকতে পারে। দক্ষিণ মেরুতে এসব স্থান নির্ধারণ করতে নাসার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরু বিশ্লেষণ করেছে।

নভোচারী কারা

চাঁদের কক্ষপথে ভ্রমণের জন্য নির্বাচিত ক্রুদের মধ্যে আছেন কমান্ডার রিড ওয়াইজম্যান, পাইলট ভিক্টর গ্লোভার, মিশন স্পেশালিস্ট ক্রিস্টিনা কোচ এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির নভোচারী জেরেমি হ্যানসেন। নভোচারীদের ঘুম, গতিবিধি, জৈবিক নমুনা এবং ফ্লাইটের প্রভাব শরীরে কেমন হচ্ছে, তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন রিড ওয়াইজম্যানের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৬৫ দিন কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে। আর্টেমিস ২ মিশনে তিনি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করবেন।

আরেক মার্কিন নভোচারী ভিক্টর গ্লোভার আর্টেমিস ২ মিশনে অরিয়ন নভোযানের পাইলটের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের প্রথম পাইলট ছিলেন। তাঁরও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৬৮ দিন কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। এবার যাচ্ছেন চন্দ্রাভিযানে।

আর্টেমিস ২–এর নভোচারীরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ