জাতীয় নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন প্রবাসীরা
Published: 4th, November 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ও নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) রুহুল আমিন মল্লিকের সই করা জনস্বার্থমূলক বার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটার, নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ও নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন। 
 এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে www.                
      
				
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, এবার প্রথমবারের মত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব প্রবাসী ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’অ্যাপে নিবন্ধিত থাকবেন, তারা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপের উদ্বোধন করা হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কত তারিখ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে তা সেদিন জানানো হবে
ঢাকা/এএএম/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি রাজনীতি জীবনের দীর্ঘ পথচলা, পরিবারের ত্যাগ এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধর্য্য ধরারও আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য!”
তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!”
“আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!”
তিনি আরো বলেন, “এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে! ”
সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।”
ঢাকা/ইভা