বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করায় দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই আসনে দলীয় প্রধানকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জামায়াত-বিএনপির প্রার্থী হলেন ২ ভাই

মনোনয়ন না পেয়ে হাজী ইয়াছিনের সমর্থকদের মহাসড়কে বিক্ষোভ

খালেদা জিয়া প্রার্থী হচ্ছেন এ খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই সোমবার রাতে জেল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে দিনাজপুর জেলা বিএনপিসহ দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। তারা স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা মুখরিত করে তোলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন। 

নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। 

মিছিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, “আমি এই ঘোষণায় অত্যন্ত আনন্দিত। দেশনেত্রী এই আসন থেকে নির্বাচিত হলে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি পাবে।” তিনি সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। 

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ বলেন, “বিএনপিসহ সব অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ম্যাডামের পক্ষে কাজ করব। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তাকে সংসদ নির্বাচনে জয়ী করে নিয়ে আসব।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ