জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটক সিনেমায় তার সরব উপস্থিতি থাকলেও ইদানিং অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের ভাবনা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। 

শবনম ফারিয়া পরিবারের সঙ্গে তোলা একটি পুরোনো ছবি শেয়ার করে বাবাকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। ক্যাপশনে উল্লেখ করেছেন, হলিউড সিনেমা ‘লায়ন কিং’ দেখার সময় বাবাকে নিয়ে এক উক্তি যখন বলে ঠিক সে সময় তিনি তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

এই অভিনেত্রী লিখেছেন, সেদিন স্বস্তিকা চ্যাটার্জির একটা পোস্ট পড়ছিলাম, একটা কথা মনে গিয়ে বিঁধলো, কথাটা খানিকটা এমন, জীবনটা দুই রকমের। বাবা থাকতে একটা, বাবা না থাকতে আরেকটা।

চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি উল্লেখ করে শবনম লিখেছেন, কখনো কি মনে হয়, এমন একটা জীবন থাকতে পারে যেখানে বাবা নাই, কিন্তু সব জায়গায় তার অস্তিত্ব, এমনকি নিজের মধ্যেও। লায়ন কিং সিনেমায় যখন সিম্বাকে বলে, “you’re the reflection of your father” আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই।

এই অভিনেত্রী আরো লিখেছেন, ফেসবুকে মেমোরিতে সময় সময়ে ছবি আসে বাবার, কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভুলে যাই, বাবা নাই, ওই সময়টায় ফিরে যাই! মাঝে মাঝে বাবা স্বপ্নে আসে বাবার সাথে কথা হয় কিন্তু ঘুম ভাঙলে মনে থাকে না বাবা কী বলে। কিন্তু তাও ভালো লাগে। বাবা আসে তাই। ওই নেনো সেকেন্ডই বাবাকে বাবা ডাকার সাধ একটু মনে হয় মেটে।

ফারিয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য়। যেখানে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় দু’জনের কাজ প্রশংসিত হয়েছে দর্শকের কাছে।

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ