দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও— স্লোগানে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল বরিশাল দক্ষিণ জেলার মতবিনিময় সভা করেছে। এ উপলক্ষে শহরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়িয়ে মতবিনিময় সভার সূচনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বের পর নগরীতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। তারা ফের অশ্বিনী কুমার হলে এসে সভায় অংশ নেয়। এখানে নেতারা বলেন, ‘‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উত্থাপিত ৩১ দফায় দেশের জনগণের চাহিদার কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমরা এই মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে তা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে চাই। যাতে করে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে জাতীয়তাবাদী দল কী চাচ্ছে। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তাদের জন্য কতটা উপযোগী হবে।’’
এস এম মাইনুল হাসান মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে: চরমোনাই পীর
‘নির্বাচন ছাড়া দেশ স্থিতিশীলতা আসবে না’
ঢাকা/অনিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’