রুয়েটের নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
Published: 18th, January 2025 GMT
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন একাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সালাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের আয়নুল হকের ছেলে। রুয়েটের নির্মাণাধীন ভবনে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
রুয়েটের সিভিল অনুষদের ১০তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস ট্রেডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন। শনিবার সকালে রডের কাজ করছিলেন সালাম। কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করছিলেন তিনি। কাজের একপর্যায়ে ৮টার দিকে পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে যান। পরে কর্মরত শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রকল্প পরিচালক অমিত রায় চৌধুরী বলেন, ‘মৃত্যুর সংবাদটি জানতে পেরেছি। নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের বারবার সচেতন করেছি। তবে সাইটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। এ দুর্ঘটনার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হবে। তাছাড়া একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে দেখা যায়নি। ওই ভবনে কর্মরত সব শ্রমিক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও প্রকল্পের দায়িত্বরত প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, মাথা থেঁতলানো ও দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্নসহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল নিহত শ্রমিককে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।