টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই
Published: 20th, October 2025 GMT
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হামিদুল মোহনের মৃত্যুর বিষয়ে তার ছেলে মিল্টন হক রাইজিংবিডি ডটকমকে তথ্য দিয়েছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং রাজনৈতিক অনুরাগী রেখে গেছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
সন্দ্বীপে ৭ প্রবাসীর দাফন সম্পন্ন
খুলনায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
মিল্টন হক বলেন, টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদিনের মতো সোমবারও (২০ অক্টোবর) গণসংযোগে বের হয়েছিলেন। দেলদুয়ার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে বিকালে দেউলী ইউনিয়নে পথসভা করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় গাড়িতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামিদুল মোহনের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়ায় বসবাস করতেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি জেলার দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা হামিদুল মোহনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ফরহাদ ইকবাল জানান, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাদ জোহর বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা হবে।
সালাউদ্দিন টুকু শোক বার্তায় বলেন, “হামিদুল হক মোহন শুধু একজন রাজনীতিক ছিলেন না— তিনি ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের ভরসার জায়গা। বিএনপির যেকোনো কর্মী যখন যেভাবে তাকে ডেকেছেন, তিনি বিনা দ্বিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ছিলেন আমার অত্যন্ত আপনজন। তার স্নেহ, পরামর্শ ও সাহস জুগিয়ে যাওয়ার শক্তি আমি কখনো ভুলব না। তার মতো নিবেদিতপ্রাণ, নিঃস্বার্থ ও আদর্শবান মানুষের শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।”
তিনি আরো বলেন, “টাঙ্গাইলের মানুষ, বিএনপি পরিবার এবং আমরা সবাই আজ একজন অভিভাবককে হারালাম। পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং তার পরিবারকে এই শোক সইবার তৌফিক দিন।”
টাঙ্গাইল
ঢাকা/কাওছার/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
জানমালের নিরাপত্তা যেখানে, আ.লীগের ভোটও সেখানে: মুফতি ফয়জুল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তাদের ভোটাররা পালায়নি। তারা এখন খুঁজছে, ভোট কাকে দেবে? আমি স্পষ্টভাবে বলছি, যারা তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারবে, তারা তাদেরকেই ভোট দেবে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার জিয়া অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলনের রামগঞ্জ উপজেলা শাখার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও নিরাপত্তা যেখানে পাবে, সেখানেই ভোট দেবে। ইনশাআল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের গ্যারান্টি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শুধু রাস্তা-ঘাট উন্নয়নই একজন সংসদ সদস্যের (এমপি) কাজ নয়। এসব হলো শুভঙ্করের ফাঁকি। বাস্তবতা হলো, তারা উন্নয়নের নামে ইসলামের বিরুদ্ধে আইন পাস করছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির বলেন, একজন এমপির প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, ন্যায়ভিত্তিক আইন প্রণয়ন। সংসদে ইসলামের পক্ষে বা বিপক্ষে যে আইন পাস হয়, তার দায়ভার ভোটারদেরও নিতে হবে। কারণ, ভোট দিয়েই আপনারা সেই সিদ্ধান্তের অংশীদার হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, যদি ইসলামের পক্ষে ভোট দেন, তার বরকত দুনিয়া ও আখিরাতে ভোটাররাই পাবেন। তাই, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে আল্লাহভীতির ভিত্তিতে।
অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের রামগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ডা. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও রামগঞ্জ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জাকির হোসাইন পাটোয়ারী, রামগঞ্জ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শেখ সাইফুল ইসলামসহ অনেকে।
ঢাকা/লিটন/রফিক