হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
Published: 18th, January 2025 GMT
আমতলীতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দু গাজীর ছেলে। চতুর্থ বিয়ে করে কুলাইরচর গ্রামের রফিক হাওলাদারের বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন তিনি।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা-মা আমতলী উপজেলার কুকুযা ইউনিয়নের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়েটি হলদিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে নানাবাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। মঙ্গলবার সকালে বাবা-মা এবং অসুস্থ ছোট ভাইকে দেখার জন্য ইটভাটায় যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। সারাদিন পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নূরুল ইসলামের মোটরসাইকেলে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের এক নির্জন স্থানে নামিয়ে চালক নূরুল মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে মেয়েটির মুখে ওড়না ঢুকিয়ে দেয় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ির দরজার সামনে ফেলে পালিয়ে যায় নূরুল। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে তুলে নিয়ে খুন করা হবে বলে শাসায়। ভয়ে ওই রাতে মেয়েটি কাউকে কিছু জানায়নি। পরদিন বুধবার শরীরের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘরে তার দাদিকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে তার বাবা বুধবার বিকেলে বাড়ি এসে মেয়েকে নিয়ে আমতলী হাসপাতালে যান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আমতলী হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান।
স্থানীয় বাসিন্দা চুন্নু মাতুব্বরের দাবি, নূরুল ইসলাম খারাপ প্রকৃতির লোক। প্রতারণা করে বিয়ে করা এবং খারাপ কাজ করাই তার নেশা। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দু গাজীর ছেলে। চতুর্থ বিয়ে করে কুলাইরচর গ্রামের রফিক হাওলাদারের বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন তিনি।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা-মা আমতলী উপজেলার কুকুযা ইউনিয়নের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়েটি হলদিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে নানাবাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। মঙ্গলবার সকালে বাবা-মা এবং অসুস্থ ছোট ভাইকে দেখার জন্য ইটভাটায় যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। সারাদিন পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নূরুল ইসলামের মোটরসাইকেলে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের এক নির্জন স্থানে নামিয়ে চালক নূরুল মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে মেয়েটির মুখে ওড়না ঢুকিয়ে দেয় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ির দরজার সামনে ফেলে পালিয়ে যায় নূরুল। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে তুলে নিয়ে খুন করা হবে বলে শাসায়। ভয়ে ওই রাতে মেয়েটি কাউকে কিছু জানায়নি। পরদিন বুধবার শরীরের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘরে তার দাদিকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে তার বাবা বুধবার বিকেলে বাড়ি এসে মেয়েকে নিয়ে আমতলী হাসপাতালে যান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আমতলী হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান।
স্থানীয় বাসিন্দা চুন্নু মাতুব্বরের দাবি, নূরুল ইসলাম খারাপ প্রকৃতির লোক। প্রতারণা করে বিয়ে করা এবং খারাপ কাজ করাই তার নেশা। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম র ইটভ ট য় ক জ কর ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’