আমতলীতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দু গাজীর ছেলে। চতুর্থ বিয়ে করে কুলাইরচর গ্রামের রফিক হাওলাদারের বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন তিনি।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা-মা আমতলী উপজেলার কুকুযা ইউনিয়নের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়েটি হলদিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে নানাবাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। মঙ্গলবার সকালে বাবা-মা এবং অসুস্থ ছোট ভাইকে দেখার জন্য ইটভাটায় যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। সারাদিন পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নূরুল ইসলামের মোটরসাইকেলে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের এক নির্জন স্থানে নামিয়ে চালক নূরুল মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে মেয়েটির মুখে ওড়না ঢুকিয়ে দেয় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ির দরজার সামনে ফেলে পালিয়ে যায় নূরুল। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে তুলে নিয়ে খুন করা হবে বলে শাসায়। ভয়ে ওই রাতে মেয়েটি কাউকে কিছু জানায়নি। পরদিন বুধবার শরীরের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘরে তার দাদিকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে তার বাবা বুধবার বিকেলে বাড়ি এসে মেয়েকে নিয়ে আমতলী হাসপাতালে যান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আমতলী হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান।

স্থানীয় বাসিন্দা চুন্নু মাতুব্বরের দাবি, নূরুল ইসলাম খারাপ প্রকৃতির লোক। প্রতারণা করে বিয়ে করা এবং খারাপ কাজ করাই তার নেশা। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
 

অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দু গাজীর ছেলে। চতুর্থ বিয়ে করে কুলাইরচর গ্রামের রফিক হাওলাদারের বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন তিনি।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা-মা আমতলী উপজেলার কুকুযা ইউনিয়নের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়েটি হলদিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে নানাবাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। মঙ্গলবার সকালে বাবা-মা এবং অসুস্থ ছোট ভাইকে দেখার জন্য ইটভাটায় যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। সারাদিন পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নূরুল ইসলামের মোটরসাইকেলে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের এক নির্জন স্থানে নামিয়ে চালক নূরুল মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে মেয়েটির মুখে ওড়না ঢুকিয়ে দেয় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ির দরজার সামনে ফেলে পালিয়ে যায় নূরুল। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে তুলে নিয়ে খুন করা হবে বলে শাসায়। ভয়ে ওই রাতে মেয়েটি কাউকে কিছু জানায়নি। পরদিন বুধবার শরীরের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘরে তার দাদিকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে তার বাবা বুধবার বিকেলে বাড়ি এসে মেয়েকে নিয়ে আমতলী হাসপাতালে যান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আমতলী হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান।

স্থানীয় বাসিন্দা চুন্নু মাতুব্বরের দাবি, নূরুল ইসলাম খারাপ প্রকৃতির লোক। প্রতারণা করে বিয়ে করা এবং খারাপ কাজ করাই তার নেশা। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম র ইটভ ট য় ক জ কর ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’

এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্‌স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ