মুন্সীগঞ্জের পদ্মাসেতু টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের সদস্যরা শনিবার (১৮ জানুয়ারি) অভিযান পরিচালনা করে এ সমস্ত জাটকা জব্দ করে।

কোস্টগার্ড জানায়, শরীয়তপুর হতে ঢাকাগামী ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-ন ২১-৪৫২৫) তল্লাশি চালালে তাতে ১ হাজার ২০০ কেজি জাটকা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার দাম ৭৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ছোট ইলিশ বা জাটকা ধরা আইননত নিষিদ্ধ। কোস্টগার্ড আরো জানায়, জাটকার প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা মো.

মাহফুজ বলেন, ‘‘আমরা রাত আড়াইটা হতে সকাল ৬টা পর্যন্ত পদ্মাসেতু টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাটকা জব্দ করি। ওই ট্রাকে থাকা অন্যান্য মাছ ট্রাকের চালকের উপস্থিতিতে গাড়ির স্টাফদের বুঝিয়ে দিয়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’

আরো পড়ুন:

জেলের জালে ধরা পড়ল ১৯৫ মণ ইলিশ‌‌

বরিশালে প্রতি কেজি ইলিশ ৩৭৫০ টাকা!

পরে লৌহজং উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামের উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানায় ও গরিব-দুস্থদের মাঝে জব্দ করা জাটকা বিতরণ করা হয়েছে।
 

ঢাকা/রতন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমের ক্রেতা নেই অর্ধেক দামে বিক্রি

নাটোরের লালপুরে আমের দামে ধস নেমেছে। ক্রেতা না থাকায় গত বছরের তুলনায় অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। আমচাষি ও বাগান ব্যাপারীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন অনেকেই। 
নাটোরের সবচেয়ে বড় আমের বাজার আহমেদপুর ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমণ লক্ষ্মণভোগ ৪৫০-৫০০ টাকা, হিমসাগর ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, আম্রপালি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ল্যাংড়া ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, হাঁড়িভাঙা ১৫০০-১৬০০ টাকা, গুটি আম ৫০০-৫৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এসব আম দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। 
রোববার আহমেদপুর বাজারে মেসার্স রউফ ট্রেডার্সের মালিক হাজী আব্দুর রউফ সমকালকে বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ভালো থাকলেও ১০ দিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। 
আহমেদপুর বাজার ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি হিমসাগর ৩০-৩৫ টাকা, লক্ষ্মণভোগ ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি দাম আরও কম। এত কম দামে আম বিক্রি করলে লাভ দূরের কথা বাগান কেনার টাকাও উঠবে না বলছেন ব্যাপারীরা। 
চলতি বছর ওয়ালিয়া গ্রামের আম ব্যবসায়ী শুভ আলী ৮০ হাজার টাকা ঋণ ও জমানো টাকাসহ মোট ৫ লাখ টাকায় ১০টি বিভিন্ন জাতের আমের বাগান কিনেছেন। শুরুতে মোটামুটি ভালো দামে আম বিক্রি করেছেন। ১০ দিনের ব্যবধানে দাম ও চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রি প্রায় বন্ধ। 
শুভ আলী আক্ষেপ করে বলেন, আম পেকে পড়ে যাচ্ছে। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে গাছ থেকে পাড়তে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে লাভতো হবেই না, উল্টো ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। 
ব্যবসায়ী ইনছার আলী বলেন, গত বছর এক কেজি পাকা হিমসাগর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে। এবার সেই আম ৩০-৩৫ 
টাকা দরেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। বাজারে আমের চাহিদা নেই। 
আম বাগানী সোহেল রানা ও শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ দিন আগে যে বাগান ৫০ হাজার টাকা দাম ছিল, এখন সেই বাগানের দাম বলছে ২০-২৫ হাজার টাকা। তারপরেও বাগান কেনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। অব্যাহত লোকসানের কারণে অনেক চাষি আবাদ বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকে ক্ষোভে বাগান কেটে ফেলছেন। বিদেশে আম রপ্তানির উদ্যোগ না নিলে আম চাষে সুদিন ফিরবে না বলে জানিয়েছেন তারা। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ঈদ ও গরমের কারণে সব জায়গায় আমের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে দাম বাড়বে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমের ক্রেতা নেই অর্ধেক দামে বিক্রি