ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী দাবি করে যুবাইর বিন নেছারী নামে একজন শনিবার বিকেলে শাহবাগ থানায় এ জিডি করেন। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে অনতিবিলম্বে মেঘমল্লার বসুকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নেছারী। 

জিডির তথ্য নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির নামে একটা জিডি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মেঘমল্লার বসু ‘দ্যা অনলি অপশন ইজ রেড টেরর’ (একমাত্র পথ লাল সন্ত্রাস) স্ট্যাটাস দেন। এ বিষয়ে তিনি সমকালকে বলেন, গত এক যুগের বেশি সময় ধরে আমাদের ওপর সহিংসতা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণকারীদের বোঝানো যাবে, তারা আক্রমণ করলে আমরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত এর কোনো সমাধান হবে না। 

স্ট্যাটাস মুছে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, স্ট্যাটাসটা এক ধরনের ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রভোকেশনের’ জায়গা থেকে দিয়েছিলাম। তার মানে এই না, আগামীকাল আমি একটা লাল বাহিনী গঠন করে পরশু দিন থেকে মারামারি শুরু করব। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সময়ে এসে লাল সন্ত্রাসের মতো বিষয়ের ইঙ্গিত দেওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। 
মেঘমল্লার বসুর স্ট্যাটাসের পরই রাত সোয়া ১২টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। কর্মসূচি থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতিকে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। 

সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ, এ বি জোবায়ের প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এলাকায় সিরাজ সিকদারের গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করেন এবং গ্রাফিতি মুছে ফেলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম

বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র  স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ