দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গাজায় আজ রবিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া কথা। কিন্তু এখনও সেই মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস জিম্মিদের নাম প্রকাশ না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গতকাল রাতেই এ ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন।

যুুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, হামাসকে আজ মুক্তিপ্রাপ্ত তিন জিম্মির নাম প্রকাশ করতে হবে। বন্দীদের মুক্তির ২৪ ঘণ্টা আগে এটি করার কথা ছিল। অর্থাৎ গতকাল। কিন্তু তা হয়নি।

আল জাজিরার খবর বলছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের নাম না পেলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।

এদিকে, হামাস জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত কারণে জিম্মিদের নাম পৌঁছাতে দেরী হচ্ছে।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, হামাস ফোন কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে না। তারা বার্তাবাহক ব্যবহার করে এবং ইসরায়েলি নজরদারি সম্পর্কে খুব সচেতন। যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, ইসরায়েলের ১২ ঘণ্টা নজরদারি বন্ধ রাখার কথা রয়েছে, যাতে হামাস গাজার অভ্যন্তরে বন্দীদের সীমান্তে নিয়ে যেতে পারে এবং তাদের হস্তান্তর করতে পারে।

সার্বিক প্রেক্ষাপটে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে কিছুটা বিলম্ব হবে বলে মনে করছে আল জাজিরা। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশ, সতর্ক ইসলামবাদ
  • আকাশসীমায় নজরদারি বাড়িয়েছে পাকিস্তান
  • পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার
  • ‘বিশ্বের নজরদারির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল’
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে