যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই টিকটক অ্যাপটি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানকার ব্যবহারকারীরা বলছেন, অ্যাপে একটি বার্তা দেখা যাচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে- টিকটিককে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আইনটি কার্যকর হয়েছে।

স্ক্রিনে লেখা দেখাচ্ছে, ‘সরি টিকটক ইজ নট অ্যাভেইলেবল রাইট নাউ’। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকটক আবার চালুর সমস্যা সমাধানে তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকটককে ৯০ দিনের একটি সময় দিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ পরিষদ ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’ এ গত বছরের মার্চে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিলটি পাস হয়। এরপর এপ্রিলে বিতর্কিত বিলটি অনুমোদন করে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট।

তখন বলা হয়েছিল, এ আইনের আওতায় টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের শেয়ার আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে।  তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে।

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কটক ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ