লোকে কী ভাববে সেটা মুখ্য নয়, গোলাপ যেটা বলবে সেটাই...
Published: 19th, January 2025 GMT
‘পুষ্পা' নামে সিনেমায় বানিয়ে মাতিয়ে দিয়েছে ভারতের দক্ষিণী পরিচালক সুকুমার। সাধারণ এ ধরণের নাম নারীদের বেলায় রাখা হয়। কিন্তু এই ছবিতে পুষ্পা নাম নিয়েই পর্দায় হাজির হয়েছেন আল্লু অর্জুন। পরের ইতিহাস সবার জানা। প্রথম কিস্তির পর দ্বিতীয় কিস্তিও বাজিমাত বক্স অফিসে।
প্রায় ৫০০ কোটি রুপিতে নির্মিত হয়েছে ‘পুষ্পা ২’ বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার ৮০০ কোটি। অনেকের ধারণা এটি দুই হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করবে।
এবার ফুলের নামে নতুন এক সিনমার ঘোষণা এলো বাংলাদেশে। ‘গোলাপ’। রোববার সিনেমার প্রথম পোস্টার প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হলো এতে নায়ক হিসেবে থাকছেন নিরব।
অনিক বিশ্বাসের চিত্রনাট্যে সিনেমাটি পরিাচলনা করবেন সামসুল হুদা। চিত্রনাট্য করেছেন এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার শেয়ার করে পরিচালক জানিয়েছিলন, ‘লোকে কি ভাবে সেটা মুখ্য না, গোলাপ যেটা বলবে সেটাই চেতনা!
ফুলের নামে যেহেতু নাম পোস্টারেও পুষ্পা ছবির কিছুটা আবহ পাওয়া গেছে। তাহলে কি ভারতীয় পুষ্পার আদলে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি? প্রশ্নের উত্তরে নির্মাতা বললেন, এখনই সিনেমাটি সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে চাই না। শুধু এতটুকু বলতে চাই, সাসপেন্স থ্রিলার গল্পের সিনেমা হতে যাচ্ছে এটি। কোনো সিনেমার অনুকরণে নয়। মৌলিক গল্পের সিনেমা হবে এটি।
জানা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। ঢাকা, সৈয়দপুরের বিভিন্ন লোকেশনে এর চিত্রায়ন হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।