বিজিবিকে মেরে মহিষ ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
Published: 19th, January 2025 GMT
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মারধর করে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ি বিশেষ ক্যাম্পের মো.
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, “বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
‘আমার কাছে বালির মূল্য বেশি, মানুষের কোনো মূল্য নাই’
ভাইয়ের মারধরে ছোট বোনের মৃত্যু
বিজিবির দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা মো. জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. বাবলু (৫০), তার ছেলে মো. ডলার (৩২), একই গ্রামের নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মো. জনি (৩৫), তার ভাই মো. টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)।
মামলার আসামিদের মধ্যে জনি ও টনি দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই টুনুর ছেলে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে। আক্কাশ দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবলু ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। বাবলু চোরাপথে ভারতীয় গরু-মহিষ আনার ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ আছে। নয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পবা থেকে যাওয়া সিজারও ঘাটিয়াল। হুন্ডি কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা খবর পান, নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাপথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছেন। এই খবরে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যান। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে ফিরছিলেন। আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাধা দেন। তারা হুমকি দেন যে, মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। একপর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কা দেন এবং কিল-ঘুষি মেরে টেনে-হিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর মামলা করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আক্কাশের মোবাইলে ফোন করা হলে তার ভাই মো. শরীফ কল ধরেন। তিনি বলেন, “আমার ভাই বাড়িতে নেই। মহিষ নিয়ে আসলে কী হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না।”
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, “বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা দানেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ব এনপ ব এনপ র ত কর ম সদস য ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত