টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে তানজিদ ছিলেন আক্রমণাত্মক। তবে বেশি সময় টিকতে পারেননি এই ওপেনার। টিপু সুলতানের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে করেন ২২ রান।  

সপ্তম ওভারের শুরুতেই জেপি কোটজে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েন সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু এরপরও সুবিধা করতে পারেননি। দুই বল পরই সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। নামিবিয়ার এই ব্যাটার টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচে করেছেন মাত্র ৮ ও ৯ রান।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত রান। শিনওয়ারির অফ স্টাম্প ঘেঁষা ফুলটসে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে শট খেলতে গিয়ে লং অফে অ্যারন জোন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান মোসাদ্দেক। দলীয় ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা।  

এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে ঢাকার ইনিংস। ১৪তম ওভারে ঢাকার স্কোর ছুঁয়ে ফেলে একশ’ রান।

এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে ঢাকা। ৭ দলের টুর্নামেন্টে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে শাকিব খানের দল। অন্যদিকে ৭ ম্যাচে সিলেটের জয় ২টিতে, পয়েন্ট ৪। টেবিলে তাদের অবস্থান ঢাকার এক ধাপ আগে (ষষ্ঠ স্থানে)।

সিলেট স্ট্রাইকার্স: আরিফুল হক, জর্জ মুনসে, আল-আমিন হোসেন, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক, সুমন খান, রুয়েল মিয়া, সামিউল্লাহ শেনওয়ার, অ্যারোন জোন্স ও টিপু সুলতান।

ঢাকা ক্যাপিটালস: লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, জেপি কোর্টজে, মোস্তাফিজুর রহমান, থিসারা পেরেরা, আবু জায়েদ রাহী, সাব্বির রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ফারমানউল্লাহ শাফি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ