স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক এমপি বাহারের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 20th, January 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা এবং কন্যা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাহাউদ্দীন বাহারের অপর দুই কন্যার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করেছে সংস্থাটি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যলেয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
তিনি জানান, সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তার ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ টাকা লেনদেন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ এর (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় মামলা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় সাবেক মেয়র তাহসীন বাহারকে আসামি করা হয়েছে। তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তার ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন সাবেক এমপি বাহাউদ্দীন বাহার ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা। গৃহিনী হয়ে স্বামীর অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টার অভিযোগে মেহেরুন্নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া, বাহাউদ্দিন বাহারের অপর দুই মেয়ের মধ্যে আয়মান বাহারে বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও আজিজা বাহারের বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। তথ্যের যথার্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরুপণের জন্য তাদের প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করেছে দুদক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকছে
দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এবারও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ নিয়ে টানা দুই মাস জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হলো। তার মানে জুলাইয়ের নির্ধারিত দামেই পেট্রল, অকটেন, ডিজেল বিক্রি হবে আগস্টে।
এর আগে জুনে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম কমানো হয় ২ টাকা। পেট্রল ও অকটেনের দাম লিটারে কমানো হয় ৩ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আগস্ট মাসের জন্য নির্ধারিত দাম জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সংশোধিত সূত্র অনুসারে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১১৮ টাকা ও অকটেনের দাম ১২২ টাকা করা হয়েছে। কেরোসিনের নতুন দাম ১১৪ টাকা।
নতুন দাম আগামীকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে। গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করেছে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়। জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন)। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।