বচ্চনপুত্র হয়েও অর্থকষ্ট, ছিলো না পোশাক কেনার টাকা
Published: 20th, January 2025 GMT
বলিউডের তারকা দম্পতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের বিচ্ছেদ নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে জল্পনার শেষ নেই। কয়েকদিন পর পর আসছে নতুন নতুন খবর। তবে নিজের সংসার ভাঙার গুঞ্জনে টু-শব্দও করছেন না তারা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে বিচ্ছেদসহ ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয়েও না প্রশ্নের মুখ পড়লেন অভিষেক। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জীবনের লড়াই ও অর্থকষ্ট নিয়ে কথা বলেছেন বচ্চনপুত্র।
অভিনয় শুরুর আগে ব্যবসা শুরু করেছিলেন অভিষেক বচ্চন। কিন্তু ব্যবসায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন বার বার।
আমেরিকায় পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেই সময় অর্থকষ্টে ভুগছিলেন অমিতাভ বচ্চন। শুধুমাত্র বাবার পাশে দাঁড়ানো ও তাকে সাহস দেওয়ার জন্য পড়াশোনা ফেলে রেখে মুম্বাইয়ে চলে এসেছিলেন অভিষেক। তখনও জানতেন না ভবিষ্যতে কী করবেন তিনি। অভিনয় কেরিয়ারের শুরুতে বেশ কিছু ছবিতে পরিচালকের সহকারী হিসাবেও কাজ করেছিলেন তিনি।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানান, তার কাছে নতুন জামাকাপড় কেনার মতোও টাকা ছিল না। একটি অ্যাওয়ার্ড শোয়ে পুরস্কার নিতে উঠেছিলেন পুরোনো শেরওয়ানি পরে।
এ প্রসঙ্গে অভিষেকের ভাষ্য, ‘আমার কাছে তখন কোনও টাকা ছিল না। এ দিকে যে অ্যাওয়ার্ড শোয়ে আমার যাওয়ার কথা সেখানে জিনস-শার্ট পরা চলবে না। কিন্তু আমার কাছে নতুন পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি কেনার টাকাও ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে বোনের বিয়ের সময় যে শেরওয়ানি কেনা হয়েছিল সেটা পরেই চলে গিয়েছিলাম।’ সূত্র: এই সময়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’