চট্টগ্রাম ওয়াসার ২ কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ
Published: 20th, January 2025 GMT
গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার বিল আদায়ের পর আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম ওয়াসার দুই কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে নগরীর চকবাজার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক কাজী শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
কুমারখালীতে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪
চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা, এসআইসহ ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
আটক কর্মচারীরা হলেন- ওয়াসার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আজমীর হোসেন ও মিঠুন দাশ।
ওয়াসা সূত্র জানায়, গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত বিলের ২৫ লাখ টাকা দুই কর্মচারী পরিকল্পিতভাবে আত্মসাত করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে। আজ এই দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের চকবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, “দাপ্তরিক তদন্তে দুই কর্মচারী কর্তৃক ২৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে। এই দুই কর্মচারী ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে গ্রাহকদের বিলের টাকা চুরি করে আসছিলেন। তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে বিলের টাকা আদায় করে ওয়াসার কম্পিউটার সিস্টেমে জমা দেখালেও, প্রকৃতপক্ষে সেই অর্থ ওয়াসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে প্রায় ২৫ লাখ টাকার অনিয়ম শনাক্ত হয়েছে।”
চকবাজার থানা ওসি ওসি জাহেদুল কবীর জানান, দুই কর্মচারীকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক গ র হকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।
টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।