১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা বোধ হয় পেয়েই যাচ্ছেন স্মৃতি মান্ধানা! যেভাবে ব্যাট করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার, তাতে এমনটাই মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্যও সহজে ছুঁয়ে ফেলতে যাচ্ছে ভারত।

কিন্তু সবকিছু বদলে গেল ৪২তম ওভারে। ইংলিশ বাঁহাতি স্পিনার লিনসি স্মিথের করা দ্বিতীয় বলটায় ছক্কা মারতে গেলেন মান্ধানা। শটে অতটা জোর ছিল না। বাউন্ডারির মিটার তিনেক ভেতরই অ্যালিস ক্যাপসি ক্যাচ নিয়ে নিলেন। মান্ধানা ফিরলেন ৮৮ রানে, ভারত চতুর্থ উইকেট হারাল ২৩৪ রানে। ম্যাচটাও ঘুরে গেল সেখান থেকে। মান্ধানা যখন ফিরলেন ৫২ বলে ৫৫ রান দরকার ভারতের। সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি ভারত, শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৪ রানে।

এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পর তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে গেল ইংল্যান্ড। আর ভারত পড়ে গেল অনেক যদি কিন্তুর মধ্যে। পাঁচ ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৯। দক্ষিণ আফ্রিকার সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে ভারত ও নিউজিল্যান্ড আছে পরের দুটি স্থানে। ২৩ অক্টোবরের ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি তাই  কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ হয়ে গেছে।

ইন্দোরের ম্যাচটিতে হিদার নাইটের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। ৯১ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১০৯ রান করেছেন ইংল্যান্ডের তিন নম্বর ব্যাটার। ট্যামি বেমন্ট (২২) ও অ্যামি জোন্সের (৫৬) উদ্বোধনী জুটি ৭৩ রান এনে দিয়েছিলেন। ২৫ রানের ব্যবধানের দুজনে বিদায় নিলেও অধিনায়ক ন্যাট সিভার-ব্রান্টকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১১৩ রান যোগ করেন নাইট। জুটির মাত্র ৩৮ রানই সিভার-ব্রান্টের। নাইট বিদায় নেন ৪৪.

৩ ওভারে দলকে ২৪৯ রানে রেখে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে। এরপর শেষ ৩৩ বলে ৩৮ রান যোগ করতে পারে দলটি।

রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারেই ওপেনার প্রতীকা রাওয়ালকে হারায় ভারত। ৬ রান করেছেন রাওয়াল। ১৩ রানে প্রথম উইকেট খোয়ানো ভারত ৪২ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। এরপর অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১২২ বলে ১২৫ রান যোগ করেন মান্ধানা। হারমানপ্রীত ৭০ বলে ৭০ রান করে আউট হওয়ার পর দীপ্তি শর্মাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৬৬ বলে ৬৭ রান যোগ করেন মান্ধানা।

৯৪ বলে ৮৮ রান করে মান্ধানার বিদায়ের পরও দীপ্তি টিকে ছিলেন ৪৭তম ওভার পর্যন্ত ঠিক ৫০ রান করে এই অলরাউন্ডার যখন আউট হলেন ১৯ বলে ২৭ রান দরকার ভারতের। শেষ ওভারে সেটি দাঁড়ায় ১৩ রানে। লিনসি স্মিথের করা ওভারে ৯ রান তুলতে পারেন আমানজোত কৌর ও স্নেহ রানা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন য গ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইকিং গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের নৃশংস প্রথা

পৃথিবীতে নানা প্রান্তে, নানা গোষ্ঠীর মধ্যে মৃতদেহ সৎকারের আলাদা আলাদা প্রথা রয়েছে। কোনো কোনো প্রথা একেবারে নৃশংস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভাইকিংদের গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের প্রথা। গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের সময় তার সঙ্গে ক্রীতদাসীর এমন মৃত্যু কার্যকর করা হতো- যা শুনলে চমকে যাবেন।

ভাইকিংরা ছিলেন মূলত জলদস্যু। এই শব্দটি এসেছে ‘ভিক’ শব্দ থেকে, যার অর্থ উপসাগর। ভাইকিংদের আদি নিবাস ছিলো উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে। যেটি বর্তমান সময়ের নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। কালক্রমে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েন ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে। ইতিহাসবিদদের মতে, রাশিয়ানদের পূর্ব পুরুষ ছিলেন এই ভাইকিংরাই। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের শেষ থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত ভাইকিংরা জলপথে ইউরোপের দেশে-দেশে হামলা চালিয়ে কখনও লুটপাট করেছে। আবার কখনও বসতি গড়েছে নিজেদের জয় করা এলাকায়। 

আরো পড়ুন:

শসা কখন খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়?

অনাথ আশ্রমে একটি বেদনা বেলা

ভাইকিংদের নিত্যদিনের কাজ ছিলো উত্তর মহাসাগর, উত্তর আটলান্টিক, বাল্টিক সাগর, নরওয়েজিয়ান সাগরের বুকে ভেসে চলা । শুরুর দিকের দুই শতাব্দী ভাইকিংরা ছিলেন প্যাগান অর্থাৎ বহু দেব দেবীর উপাসক।  ভাইকিং মিথোলজি বেশ ঘটনাবহুল। তারা বিশ্বাস করতো গোষ্ঠীপতি মারা গেলে তার মৃতদেহের সঙ্গে ক্রীতদাসীর মৃতদেহ সৎকার করা হলে, মৃত্যুর পরেও মেয়েটি গোষ্ঠীপতির সেবা করতে পারবে।

ভাইকিংদের কোনো গোষ্ঠীপতি মারা গেলে তার জন্য একটি অস্থায়ী কবর তৈরি করা হতো। সেই কবরে মৃতদেহটি দশদিনের জন্য রাখা হতো। এই সময়ের মধ্যে গোষ্ঠীপতির জন্য নতুন পোশাক বানানো হতো। একইসাথে গোষ্ঠীপতির সঙ্গে দাহ করার জন্য কোনো ক্রীতদাসীকে প্রস্তুত করা হতো। 

নির্ধারিত ক্রীতদাসীকে রাত-দিন পাহারায় রাখা হতো। আর প্রচুর পরিমাণে উত্তেজক পানীয় পান করানো হতো। এরপর যখন সৎকারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতো। ওই দুর্ভাগা মেয়েটিকে একের পর এক গ্রামের সব তাবুর পুরুষের সঙ্গে মিলিত হতে হতো। পুরুষেরা মেয়েটিকে বলতো— “তোমার মনিবকে বলো যে, এটা তার প্রতি আমার ভালোবাসা থেকেই করলাম”!

মেয়েটিকে মেরে ফেলার আগমুহূর্তে ছয়জন ভাইকিং পুরুষ মেয়েটির সঙ্গে মিলিত হতে হতো। এরপরেই মেয়েটিকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলা হতো। মৃত্যু নিশ্চিত করতে একেবারে শেষধাপে ভাইকিং গোত্রেরই মহিলা প্রধান তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতেন।

এরপর সেই মেয়ে আর তার মনিবের মৃতদেহ একই কাঠের নৌকায় তুলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হতো সেখানে। এটি করা হতো যাতে মেয়েটি পরকালে গোষ্ঠীপতির সেবা করতে পারে।

ভাইকিংরা আস্তে আস্তে  খ্রিস্টান দেশগুলোর প্রভাবে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। এবং নৃশংস প্রথা বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেতৃত্ব হারাতে পারেন রিজওয়ান, কে হবেন পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক
  • সৈয়দ আব্দুল হাদীর জীবনের গান
  • ২২৩ দিন পর ভারতের জার্সিতে ফিরে ০ রানে আউট কোহলি
  • ওমান থেকে ফিরল ৭ প্রবাসীর মরদেহ, আজ জানাজা
  • কৃত্রিম হাত খুলে যাওয়া আতিকুলের বাসায় নাহিদ ইসলাম
  • জুলাই জাতীয় সনদে ২৪ দলের সই
  • জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান কয়েক মিনিট দেরিতে শুরু হতে পারে: প্রেস সচিব
  • আগামী মাসে ইউরোপে আফ্রিকান দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল
  • ভাইকিং গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের নৃশংস প্রথা