পুতুল ডব্লিউএইচওতে থাকতে পারবেন কিনা– প্রশ্ন দুদকের
Published: 20th, January 2025 GMT
ফৌজদারি মামলার আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পদে থাকতে পারবেন কিনা– এ প্রশ্ন তুলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে সরকার আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কিনা, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাতে চায়।
সূত্র জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুল। ডব্লিউএইচও কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফৌজদারি মামলার কোনো আসামি ডব্লিউএইচওতে কর্মরত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার কী করতে পারে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এর আইনগত দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুদকের এক পদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দুদকের মামলার আসামি হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অথবা দপ্তরে চিঠি পাঠায় দুদক। সেই প্রক্রিয়ায় পুতুলের আসামি হওয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে চায়।’
পুতুল সরকারি কর্মকর্তা নন। তিনি ডব্লিউএইচওতে কর্মরত। দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে ডব্লিউএইচওতে সরকার চিঠি পাঠাতে পারে কিনা– তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
এদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার অভিযোগে পুতুলকে প্রধান আসামি করে গত ১২ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগী আসামি করা হয়। মোট আসামি করা হয় ১৬ জনকে।
মামলায় বলা হয়, রাজউকের বিধান লঙ্ঘন করে আসামির অনুকূলে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর কার্যালয়ের মাধ্যমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় চিঠির মাধ্যমে রাজউকের চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দেয়। পুতুলকে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-৯ প্রতিপালন করার কথা। অথচ বিশেষ অনুগ্রহ ও অবৈধ প্রাপ্তি হিসেবে প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া ও নেওয়া হয়েছে। আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।