প্লে-অফের আশা নিয়ে এগোচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্স
Published: 21st, January 2025 GMT
হারের বৃত্তে আটকে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের সামনে এখনো প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন বেঁচে আছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৬ রানের হারেও আশাবাদী আরিফুল হকের দল। সিলেটের বিদেশি ক্রিকেটার সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, বাকি চারটি ম্যাচ জিতে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্য তাদের।
শিনওয়ারি বলেন, ‘এখনো ৪টি ম্যাচ বাকি আছে। আমরা যদি ভালো ব্যবধানে জয় তুলে নিতে পারি এবং বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে সেরাটা দিতে পারি, তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। অনেক দল এখনো পয়েন্ট টেবিলে আমাদের কাছাকাছি রয়েছে। যদি ১২ পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারি, তাহলে ভালো সুযোগ থাকবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
শিনওয়ারি এদিন দলের ক্রিকেটার জাকের আলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জাকের দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটার। তিনি জানেন চাপের পরিস্থিতিতে কেমন খেলা প্রয়োজন। এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বড় খেলোয়াড়রা যেভাবে পারফর্ম করে, সেও তাই করেছে। দলের জন্য এটা ইতিবাচক। আশা করি, সে তার এই ফর্ম ধরে রাখবে এবং বাংলাদেশের হয়ে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভালো পারফর্ম করবে।’
ঢাকার বিপক্ষে ৬ রানের হারের পেছনে কী পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, সে বিষয়ে শিনওয়ারি বলেন, ‘আমরা খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু মনে হয় ১৫-২০ রান অতিরিক্ত দিয়ে ফেলেছি। এখানেই পার্থক্যটা হয়ে গেছে। আমরা বোলিং, ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং ভালো করেছি। তারপরও ম্যাচটা হেরেছি। তবে এখনো ৪টি ম্যাচ বাকি আছে। আশা করছি, সেগুলোতে ভালো করতে পারব।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে
ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।