বসার ঘরে পাতা সোফা। তার ডান দিকে সবার প্রথমে বসা রঞ্জিত মল্লিক। অফ হোয়াইট রঙের জ্যাকেট পরে তার পাশে বসা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি। তার পাশে বসা চিরঞ্জিৎ ও বিপ্লব চ্যাটার্জি। একদম বাঁ পাশের সোফায় বসা জিৎ। তার গায়ে গোলাপি রঙের জ্যাকেট।

জিতের পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রূপা গাঙ্গুলি, কৌশিক সেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শঙ্কর চক্রবর্তী। সামনে পাতা টেবিলে সাজানো নানা পদের খাবার, চায়ের কাপ। সবার মুখেই হাসির ঢেউ খেলা করছে। প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি তার ফেসবুকে একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

ভারতীয় বাংলা সিনেমার একঝাঁক তারকাকে একফ্রেমে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। শিখা নামে একজন লেখেন, “অনেক দিন পরে একসাথে সবাইকে দেখতে পেলাম।” সুদেষ্ণা গাঙ্গুলি লেখেন, “তারকার মেলা।” আব্দুল হালিম লেখেন, “প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরকে অনেক সুন্দর লাগছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।” অর্পণ লেখেন, “চার ‘জিৎ’ একসাথে একটা মাস অ্যাকশন সিনেমা হয়ে যাক! প্রসেনজিৎ ভার্সেস জিৎ, আরো একটা উত্তরপাড়া বনাম দক্ষিণপাড়া, সংঘর্ষ টু হবে কি?”

আরো পড়ুন:

চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ তারকারা

কাজের লোককে ‘ঝি’ বলা যাবে না কেন, প্রশ্ন অঞ্জন দত্তর

এক ফ্রেমে এতজন তারকা অভিনয়শিল্পীকে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। তবে কি কারণে একসঙ্গে হয়েছিলেন, তা জানা যায়নি। তবে প্রসেনজিৎ ছবির ক্যাপশনে লেখেন— “রঞ্জিতদার বাড়িতে আড্ডা।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ