গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ইয়াবাসহ আটক হওয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহান মোল্লাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গোপালগঞ্জ জেলাধীন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহান মোল্লাকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এছাড়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে যুগ্ম আহবায়ক সোহান মোল্লার সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ড না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এর আগে সোমবার ভোররাতে উপজেলার গিমাডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০২ পিস ইয়াবাসহ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

ঐদিন বিকালে গোপালগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কাজী কামরুজ্জামান বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে ছাত্রদল নেতা সোহানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে কারণে সোহান মোল্লার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারো স্থান ছাত্রদলে হবে না বলেও জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল র গ প লগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ