নাটোরে ওয়ালটন প্লাজার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে। এতে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ওয়ালটন প্লাজা প্রাঙ্গণে এ মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ডিভিশন-১০ এর সিডিও কাজী আরিফ হোসেন, ডিসিএম ওবায়দুর রহমান তালুকদার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো.

তৌফিকুর রহমান সুমেল, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. আমিনুর ইসলাম এবং নাটোর ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার দেওয়ান শাহ আলম।

চিকিৎসাসেবা দেন নাটোর চামেলী ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল ইমরান এবং তার সহকারী সুমি খাতুন। 

স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পাশাপাশি পণ্য প্রদর্শনী ও কিস্তি মেলারও আয়োজন করা হয়েছে। এতে ওয়ালটনের গ্রাহকসহ সাধারণ মানুষদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। তারা এসব সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অনেকে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্য দেখে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পণ্যও কিনেন অনেকে।

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা শাহিন বেগম, শিউলি খাতুন, শাহিদা খাতুন, রেজাউল করিম, ওয়াজেদ আলী, আবেদ আলী প্রমুখ বলেন, “ওয়ালটন প্লাজার উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসাসেবা পেয়েছি। এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ওয়ালটন পরিবারের কাছে। এমন উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে, কর্তৃপক্ষের কাছে এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দিয়েছে ওয়ালটন।” 

দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তারা।

ঢাকা/আরিফুল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ