নাটোরে ওয়ালটন প্লাজার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
Published: 21st, January 2025 GMT
নাটোরে ওয়ালটন প্লাজার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে। এতে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ওয়ালটন প্লাজা প্রাঙ্গণে এ মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ডিভিশন-১০ এর সিডিও কাজী আরিফ হোসেন, ডিসিএম ওবায়দুর রহমান তালুকদার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো.
চিকিৎসাসেবা দেন নাটোর চামেলী ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল ইমরান এবং তার সহকারী সুমি খাতুন।
স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পাশাপাশি পণ্য প্রদর্শনী ও কিস্তি মেলারও আয়োজন করা হয়েছে। এতে ওয়ালটনের গ্রাহকসহ সাধারণ মানুষদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। তারা এসব সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অনেকে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্য দেখে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পণ্যও কিনেন অনেকে।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা শাহিন বেগম, শিউলি খাতুন, শাহিদা খাতুন, রেজাউল করিম, ওয়াজেদ আলী, আবেদ আলী প্রমুখ বলেন, “ওয়ালটন প্লাজার উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসাসেবা পেয়েছি। এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ওয়ালটন পরিবারের কাছে। এমন উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে, কর্তৃপক্ষের কাছে এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দিয়েছে ওয়ালটন।”
দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তারা।
ঢাকা/আরিফুল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ইরানের তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা
ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছে। তবে এবারই প্রথম ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর দুই পক্ষ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা তীব্র হতে থাকায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার গভীর রাতে ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী তেহরানে একটি তেল শোধনাগারেও আগুন ধরে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
বিশ্বের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এ ইসরায়েলের হামলায় আগুন লাগার পর ইরান আংশিকভাবে এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে থাকে।
ইসরায়েল নজিরবিহীনভাবে ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে। দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিচ্ছে।
ইরান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ও তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল মজুতের অধিকারী– এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) দেওয়া। ফলে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে এতদিন ইসরায়েল ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা এড়িয়ে চলছিল, বিশেষ করে তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের চাপ ছিল। কিন্তু এবার তা বদলে গেছে।
গত শনিবার রাতে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে শাররান জ্বালানি ডিপো ও শহরের দক্ষিণে শার-রে অঞ্চলে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ তেল শোধনাগারে বড় ধরনের আগুন লাগে। এ ছাড়া ইরানের দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র সাউথ পার্স লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হামলায় সাউথ পার্সের ‘ফেইজ ১৪’ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আগুন লাগে। ফলে এখানে দৈনিক ১ দশমিক ২ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদনকারী একটি অফশোর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হামলার প্রথম দিনে তেল ও গ্যাস স্থাপনা বাদ পড়লেও বাজারে তেলের দাম প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও বড় উল্লম্ফন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালান এয়ার বলেন, ইসরায়েল চায়, ইরানের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়ুক। তাদের লক্ষ্য, ইরানের এই সরকারের পতন ঘটানো। ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ, দেশের অভ্যন্তরে সম্মান রক্ষার বিষয় আছে। কিন্তু ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা ইরানের নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের বন্ধুর সংখ্যা কম। আর থাকলেও ইসরায়েল পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মতামতকে পাত্তা দেয় না– বলেন তিনি।