পলাতক ওসি শাহ আলম ‘সম্ভবত’ ভারতে চলে গেছেন: ডিএমপি কমিশনার
Published: 21st, January 2025 GMT
কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনার পর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক ওসি পলাতক শাহ আলমকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘‘সম্ভবত তিনি ভারত বা পাশের দেশে পালিয়ে গেছেন।’’
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ‘‘পালানো ওসি শাহ আলমকে পুলিশ ছেড়ে দেয়নি। দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে যদি পুলিশ ছাড়বেই, তবে কুষ্টিয়াতেই ছেড়ে দিত। ঢাকায় আনার পর ছাড়ত না। আমরা তাকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সে হয়তো এ দেশে আর নেই, ভারত বা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাস্তব কথা হচ্ছে যে, একটু সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়তো পালাতে পারত না। একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়তো কেয়ারলেস হয়েছিল, এর ফাঁকে সেই সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে। দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় একটি মামলায় উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি শাহ আলমকে ৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু সেদিন সকালে উত্তরা পূর্ব থানার ওসির কক্ষ থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম। তাকে ধরতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সব ইউনিট কাজ শুরু করে। পুনরায় গ্রেপ্তারে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। তবে এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বরত ওসি মহিবুল্লাহকে প্রত্যাহার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো.
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন ল ইসল ম ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমকে প্রহার করে চোখ নষ্টের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আজ রবিবার (১৫ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে নেয়ার আগে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম এরং আম নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরে বিএনপি নেতাদের শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম জানান, মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজে বিএনপি নেতা ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ অকেজো হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল