কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনার পর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক ওসি পলাতক শাহ আলমকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘‘সম্ভবত তিনি ভারত বা পাশের দেশে পালিয়ে গেছেন।’’ 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, ‘‘পালানো ওসি শাহ আলমকে পুলিশ ছেড়ে দেয়নি। দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে যদি পুলিশ ছাড়বেই, তবে কুষ্টিয়াতেই ছেড়ে দিত। ঢাকায় আনার পর ছাড়ত না। আমরা তাকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সে হয়তো এ দেশে আর নেই, ভারত বা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাস্তব কথা হচ্ছে যে, একটু সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়তো পালাতে পারত না। একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়তো কেয়ারলেস হয়েছিল, এর ফাঁকে সেই সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে। দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় একটি মামলায় উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি শাহ আলমকে ৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু সেদিন সকালে উত্তরা পূর্ব থানার ওসির কক্ষ থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম। তাকে ধরতে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের সব ইউনিট কাজ শুরু করে। পুনরায় গ্রেপ্তারে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। তবে এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বরত ওসি মহিবুল্লাহকে প্রত্যাহার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো.

নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন ল ইসল ম ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িচাপায় সেনাসদস্য নিহত

কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ার শেরপুরে গাড়িচাপায় এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ছোনকা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিফাত খন্দকার (২২)। তিনি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে ও সাভার ক্যান্টনমেন্টে সিপাহি পদে ছিলেন। শেরপুর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, তিন দিনের ছুটি নিয়ে গতকাল রাতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন রিফাত। পথে ছোনকা এলাকার একটি হাইওয়ে রেস্তোরাঁর পাশে নামেন তিনি। এরপর ঢাকা থেকে বগুড়াগামী লেন পার হয়ে বগুড়া থেকে ঢাকাগামী লেনে ওঠার চেষ্টা করেন। ওই সময় একটি গাড়ি তাঁকে চাপা দেয়। তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে শেরপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় গাড়িটি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শেরপুর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতপরিচয় গাড়িটির খোঁজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ