আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে দরপত্র ছাড়াই বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তির ট্যারিফ (বিদ্যুতের দাম) পর্যালোচনার জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। 

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব (উন্নয়ন-১) মোহাম্মদ সোলায়মানকে। অন্য সদস্যরা হলেন- বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার কমিটির আর্থিক মডেলিং বিশেষজ্ঞ ও পাওয়ারসেলের পরামর্শক তোহা মুহাম্মদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.

মনজুর আলম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) অঞ্জনা খান মজলিশ ও পরিচালক (ক্রয় পরিদপ্তর) মো. নান্নু মিয়া।

উচ্চ পর্যায়ের এ কমিটি বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান বা ‘দায়মুক্তি আইনের’ আওতায় নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তিতে অসঙ্গতি খুঁজে বের করে এ সংক্রান্ত সুপারিশ করবে। পাশাপাশি বিশেষ আইনে করা ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনা করে তা কমানো যায় কিনা সে সুপারিশও করবে। বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস আদেশে বলা হয়, কমিটিতে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কোনো সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছাড়াই। এসব চুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আছে। বিগত সরকারের পছন্দের বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে এসব কেন্দ্রের কাজ দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে তাতে ব্যয় অনেক বেশি পড়ছে।

‘দায়মুক্তি আইনের’ অধীনে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে যাওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে এটি বাতিলের দাবি তোলা হলেও আওয়ামী লীগ সরকার তা আমলে নেয়নি। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনটি বাতিল করা হয়। এখন কেন্দ্রগুলোর চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ সরক র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ