বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনায় ছয় সদস্যের কমিটি
Published: 21st, January 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে দরপত্র ছাড়াই বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তির ট্যারিফ (বিদ্যুতের দাম) পর্যালোচনার জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব (উন্নয়ন-১) মোহাম্মদ সোলায়মানকে। অন্য সদস্যরা হলেন- বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার কমিটির আর্থিক মডেলিং বিশেষজ্ঞ ও পাওয়ারসেলের পরামর্শক তোহা মুহাম্মদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
উচ্চ পর্যায়ের এ কমিটি বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান বা ‘দায়মুক্তি আইনের’ আওতায় নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তিতে অসঙ্গতি খুঁজে বের করে এ সংক্রান্ত সুপারিশ করবে। পাশাপাশি বিশেষ আইনে করা ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনা করে তা কমানো যায় কিনা সে সুপারিশও করবে। বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস আদেশে বলা হয়, কমিটিতে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কোনো সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছাড়াই। এসব চুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আছে। বিগত সরকারের পছন্দের বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে এসব কেন্দ্রের কাজ দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে তাতে ব্যয় অনেক বেশি পড়ছে।
‘দায়মুক্তি আইনের’ অধীনে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে যাওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে এটি বাতিলের দাবি তোলা হলেও আওয়ামী লীগ সরকার তা আমলে নেয়নি। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনটি বাতিল করা হয়। এখন কেন্দ্রগুলোর চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ সরক র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি