ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে যে অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন
Published: 22nd, January 2025 GMT
তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জীবন যাপনে শৃঙ্খলা প্রয়োজন। এ ছাড়া ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি, আমিষ, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি। ত্বকে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকলে তারুণ্য ধরে রাখা যায়। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন লাবীবা তাসনীম, প্রধান ফিটনেস পুষ্টিবিদ, ইন্সপিরন ফিটনেস এন্ড ডায়েট কনসালটেন্সি সেন্টার, ধানমন্ডি।
এই পুষ্টিবিদন বলেন, ‘‘ যেসব খাবার কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় সেগুলো ত্বককে দৃঢ় এবং বলিষ্ঠ রাখে। এর ফলে রিঙ্কল এবং ফাইন লাইন কমে যায়। যেমন—পেয়ারা, স্ট্রবেরি,আম, মটরশুঁটি, ফুলকপি, সবুজ মরিচ পেঁপে, বাঁধাকপি, লেবু করোলা, আম,কিউই,ব্রকলি, কমলা ইত্যাদি। ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ভিটামিন ই। এজন্য খাবার তালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এই ধরনের খাবার ত্বকের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় আছে সূর্যমুখী বীজ, কাজুবাদাম, চিনা বাদাম, গমের ছালের তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাই তেল, পালং শাক, গাজর, অ্যাভোকাডো, লাল মিষ্টি মরিচ, কুমড়ার বীজ, ব্রোকলি ইত্যাদি। ত্বককে আর্দ্র ও কোমল রাখার জন্য ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন—চিয়াসিড, ফ্লেক্সসিড, আখরোট, কড মাছের তেল ও সার্ডিন মাছ খেতে পারেন। ত্বকের কাঠামো এবং দৃঢ়তা বজায় রাখতে উন্নত মানের আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। আমিষের উৎস হিসেব দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, হাড়ের মজ্জা, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ খুব ভালো।’’
লাবীবা তাসনীম আরও বলেন, ‘‘ত্বক নরম ও কোমল রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বায়োটিন সমৃদ্ধ সূর্যমুখী বীজ, রোস্টেড কাঠবাদাম, গরুর কলিজা, মিষ্টি আলু, টুনা মাছ, ডিম, সালমন মাছ, টিনজাত মাশরুম গ্রহণ করা যেতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য বেরি, গ্রিন টি, রঙিন ফলমূল শাকসবজি ইত্যাদি গ্রহণ করা যেতে পারে।’’
আরো পড়ুন:
সামনেই বিয়ে? ত্বকের যত্নে যা যা করতে পারেন
পনেরো দিন মেকআপ ব্যবহার না করলে ত্বকে যা ঘটে
এ ছাড়াও রূপচর্চার রুটিনে রাখা প্রয়োজন ইয়োগা, ফেসিয়াল এবং ব্যায়াম। তাহলে ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ত্বক সহজে তারুণ্য হারাবে না।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা কমপ্লায়েন্স অনুসরণে
অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়মত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদের আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পরিচালনা পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব এবং লিমিটেড কোম্পানির কমপ্লায়েন্স’ শীষর্ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্ম পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্টার এ. কে. এম নুরুন্নবী কবির এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নুরুন্নবী কবির বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় পৌনে ৩ লাখ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে নিবন্ধিত রয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধনের প্রায় সব প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়ে থাকে।’’
তিনি জানান, শুধু কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের বিষয়টি আনলাইন সেবার বাইরে আছে। যেটি ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়সমত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদেরকে আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।’’
বিশেষ করে সরকারের সকল সেবা প্রাপ্তির পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কমপ্লায়েন্স মেনে চলার উপর তিনি জোরারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও শিল্পখাতের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে লিমিটেড কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি আইন, গঠনতন্ত্র বা কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিষয়ের জটিলতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার অভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।’’
কর্মশালাটি পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা প্রভৃতির গুরুত্ব, সময়মতো এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পদ্ধতি, কোম্পানি আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স বজায় রাখার কৌশল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করবে বলে জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
ঢাকা/নাজমুল//