এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সপ্তম সমাবর্তন ২৭ ফেব্রুয়ারি
Published: 22nd, January 2025 GMT
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সপ্তম সমাবর্তন আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঢাকার আগারগাও এ অবস্থিত চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সমাবর্তন হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী সমাবর্তনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। সপ্তম সমাবর্তনের জন্য ‘সামার ২০১৭’ সেমিস্টার থেকে ‘ফল ২০২৪’ সেমিস্টারের মধ্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
যেসব শিক্ষার্থী সব সনদ উত্তোলন করেছেন, তারা নিজ নিজ স্টুডেন্ট পোর্টালে লগ ইন করে সরাসরি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। কিন্তু যারা উত্তোলন করেননি, তাদের যাবতীয় বকেয়া (যদি থাকে) পরিশোধ করে সব সনদ উত্তোলনের পর স্টুডেন্ট পোর্টালে লগ ইন করে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশনের সময় শিক্ষার্থীদের তাদের সচল মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে। সঙ্গে একটি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ছবির সাইজ ২এমবি এর বেশি হওয়া যাবে না এবং অবশ্যই .
সমাবর্তনের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার টাকা (সনদ ফি’সহ)। তবে গাউন জামানত ১ হাজার টাকাসহ (ফেরতযোগ্য) মোট ৮ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এছাড়া অতিথি (সর্বোচ্চ দুইজন, প্রাপ্তবয়স্ক) ফি জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের টঙ্গী শাখার হিসাবের নাম AUB CONVOCATION এবং হিসাব নম্বর ১৩১১১২০০১৮৭৬৩ এর অনূকুলে ফি প্রদান করে জমা রশিদ আবেদনের সময় আপলোড করতে হবে। যেকোন প্রয়োজনে [email protected] ইমেইলে এবং ০১৯১৫২৭৭৭৩৩ ও ০১৭৫৫৯৫৯৪৭৭ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
এ বিষয়ে এইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ জাফার সাদেক বলেন, “গত কনভোকেশন হয়েছিল ২০১৭ সালে। মাঝখানে ফ্যাসিস্ট সরকারের অসহযোগিতার কারণে কনভোকেশন আয়োজন করতে পারেনি এইউবি। এবারের কনভোকেশনের মাধ্যমে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এগিয়ে যাবে তার স্ব-মহিমায়। বিগত সময়ের মত দেশকে উপহার দিবে সৎ দক্ষ, যোগ্য ও নৈতিকতা সম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট।”
কনভোকেশনকে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. শাহজাহান খান।
ঢাকা/আরিফুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানি শেষে আদেশের এই তারিখ ধার্য করেন।
গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার শুনানি হয়।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়; পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ইন্টারভেনার (ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর আজ শুনানি শেষ হলো।